আজকাল ওয়েবডেস্ক: ঘটনা ২০২৪-এর। সেই ঘটনা ফের সামনে উঠে এসেছে ২০২৫ সালে। আর তার পরেই শুরু হয়েছে তুমুল চর্চা। মূল ঘটনা কী? জানা যায়, নিজের ১৫ বছরের সন্তানকে যৌননির্যাতন করেছিলেন যুবকের দ্বিতীয় স্ত্রী। আর সেই সময়েই কোনওক্রমে ঘরে ঢুকে পড়েন যুবতীর স্বামী। হাতেনাতে ধরে ফেলার পরেই, জানতে পারেন স্ত্রী তাঁকে কাছে না পেয়ে, ফাঁকা ঘরে ছেলেকে পেয়েই যৌননির্যাতন চালান। অভিযোগ দায়ের করে, নিজের স্ত্রীকেই জেলে পাঠিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি।
ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয় স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে। নিউ ইয়র্ক পোস্টের তথ্য, ফ্লোরিডার নার্স, ওই যুবতী স্বীকার করেছেন, তিনি তাঁর সৎছেলের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন বহুদিন ধরেই। খুঁজতেন সুযোগ। কিন্তু কারণ কী? কারণ হিসেবে তিনি যা জানিয়েছেন, তাতে তাজ্জব যুবক নিজেও। স্ত্রী জানিয়েছেন কারণ হিসেবে, ওই কিশোর, স্বামীর অনুপস্থিতিতে তাঁকে স্বামীর কথা মনে করাত। পুলিশ রিপোর্ট অনুসারে, তিনি বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন, কীভাবে ওই কিশোরের শারীরিক গড়ন, উপস্থিতি, সবকিছুই তাঁকে তাঁর স্বামীর কথা মনে করাত মাঝে মাঝেই।
ঘটনাটি ঘটে ২০২৪ সালের জুলাই মাসে। কী হয়েছিল?
ওই যুবতীর স্বামী অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযোগ ছিল, তিনি নিজের চোখে দেখেছেন, তাঁর স্ত্রী, তাঁর ১৫ বছরের ছেলের উপর যৌন নির্যাতন চালাচ্ছেন। তদন্তের সময় জানা যায় যে, ৩৫ বছর বয়সী অভিযুক্ত অ্যালেক্সিস ভন ইয়েটস গ্রীষ্মকালে ফ্লোরিডায় বাড়িতে তাঁর সৎ ছেলে আসার পর তাকে যৌন নির্যাতন করেন। ঘটনার দিনের আগে বারেবারে যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলেছেন নানা সময়ে, নানা ইঙ্গিত দিয়েছেন বলেও জানা যায় পরে। আদালতের নথি অনুসারে, ঘটনার রাতে, ইয়েটস তাঁর দুই সন্তানকে বিছানায় শুইয়ে দেন এবং তার ১৫ বছর বয়সী সৎ ছেলের সঙ্গে লিভিং রুমে সময় কাটান বলে জানা গেছে। জানা যায়, ওই সময়ে দু' জনেই মাদক সেবন করেছিলেন। রাত একটার দিকে ইয়েটস সিনেমা দেখতে শুরু করেন এবং তার পরেই তিনি যৌন নির্যাতন শুরু করেন বলে অভিযোগ।
যখন নার্সের স্বামী বাড়ি ফেরেন, তিনি আবিষ্কার করেন, স্ত্রী সম্পূর্ণ নগ্ন, পাশে ছেলে। দু' জনেই লিভিং রুমের সোফায়। সেই মুহূর্তে তিনি চিৎকার করে ওঠায় ছেলেটি ওই জায়গা থেকে পালিয়ে বাঁচে। তিনি বাবা এবং ওই যুবতীর সম্পূর্ণ কথোপকথন শুনেছিলেন বলেও জানান পরে। ডেইলি মেইলের তথ্য, মূল গ্রেপ্তারের হলফনামা অনুসারে, নার্সের স্বামী যখন কিশোরীকে তার কাজের সত্যতা সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন, তখন ভন ইয়েটস যুক্তি দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন যে তিনি ছেলেটিকে থামতে বলেছিলেন। ওই কিশোরই তাঁর উপরে জোর খাটায়। যদিও ছেলে তা অস্বীকার করে। পরে জানায়, বেল্ট দিয়ে মারের ভয়ে প্রথমের দিকে সে চাইলেও সব সত্যি বলতে পারেনি। কয়েকমাস পর, যুবতীর স্বামী অভিযোগ দায়ের করেন। ওই যুবতীকে তাঁর নার্সের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলেও জানা যায় স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে।
