আজকাল ওয়েবডেস্ক: আগুনের খেলা চলছে এখনও। কেটে গিয়েছে এক সপ্তাহ। প্রতিদিনই পরিস্থিতি খারাপ থেকে আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার পরিস্থিতি সবথেকে খারাপ। যেভাবে তীব্র বাতাস বইছে তাতে আগুনকে নিয়ন্ত্রণে আনা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আবার বহু জায়গায় ছাই চাপা আগুন রয়েছে। সেখান থেকেও ধীরে ধীরে ফের বাড়ছে আগুনের দাপট। ঘরছাড়া হয়েছেন বহু মানুষ। তাদের পরিস্থিতি অতি শোচনীয়। কোথায় গিয়ে তারা থাকবেন, আগামীদিনে তাদের ভবিষ্যত কী সেই নিয়ে তারা দিশাহারা।

 


সরকারি সূত্র অনুসারে প্রতিটি ঘর পুড়ে গিয়েছে। ৯০ হাজারের বেশি বাড়ি এখন অন্ধকারের মধ্যে। কবে ফের শুরু হবে বিদ্যুতের সরবরাহ কেউ হলফ করে বলতে পারছেন না। বুধবার সকাল থেকে ফের আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেছেন দমকলকর্মীরা। এখনও পর্যন্ত ২৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। তাদের দেহ আগুনে ঝলসে গিয়েছে।

 


যেসব মানুষ ঘরহারা হয়েছেন তাদের জন্য সাময়িক থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এই মানুষের পরিমান এতটাই বেশি যে তাদের কোথায় থাকতে দেবে তা নিয়ে চিন্তায় প্রশাসনের কর্তারা। 


লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া, লস অ্যাঞ্জেলস, ভেনচুয়ারাতে পরিস্থিতি এখনও জটিল রয়েছে। এইসব জায়গায় ১১০ কিলোমিটার বেগে তীব্র হাওয়া বইছে ফলে সেখানে আগুনকে বাগে আনা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে। যেভাবে গোটা এলাকা শুষ্ক হয়ে পড়েছে তাতে সেখান থেকে আরও একটি দাবানলের সম্ভাবনা রয়েছে। 


আশেপাশের সমস্ত এলাকা খালি করে দেওয়া হয়েছে। যা কিছু থেকে আগুন ছড়ায় সেগুলি সব সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদি নতুন করে দাবানল ছড়িয়ে পড়ে তাহলে পরিস্থিতি সামলানো আরও তীব্র সমস্যা হবে বলে মনে করছেন দমকলকর্মীরা।


তবে এতসবের মধ্যেও হাল ছাড়তে নারাজ দমকল কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছেন বিগত এক সপ্তাহ ধরে দিনরাত এক করে তারা কাজ করে চলেছেন। আগুন নেভাতে গিয়ে আহত হয়েছেন একাধিক দমকলকর্মী। তবে এই সময় তাদের পরিবার তাদের পাশে থেকেছে। তারা নতুন করে তাদের এই বিপদ থেকে মানুষকে রক্ষা করার সাহস দিয়েছে। জলের অভাব থাকলেও সেটা নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ তারা। যদি ফের নতুন করে দাবানল তৈরি হয় তাকে সামলাতেও তারা তৈরি।