আজকাল ওয়েবডেস্ক: দাবানলের করাল গ্রাসে ঝলসে গিয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলস। এবার ফের নতুন করে সেখানে ঘর তৈরির পালা। তবে যেহেতু এখানকার বেশিরভাগ বাড়ি কাঠের তৈরি তাই ফের সেইপথেই কাজ করতে চাইছেন এখানকার বাসিন্দারা।
 
 তবে এখানেই তৈরি হয়েছে বাড়তি মাথাব্যাথা। যে সংখ্যায় বাড়ি তৈরি করতে হবে সেইমতো কাজের লোক নেই। পাশাপাশি যে কাঠ দিয়ে বাড়ি তৈরি করা হয় সেই কাঠ এখন মিলছে না। আর যদিও বা মিলছে তার দাম প্রায় ৮০ শতাংশ বেশি। ক্যালিফোর্নিয়া সরকার সকলকে বাড়ি তৈরি করার আশ্বাস দিয়েছিল। তবে এবার সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে হিমসিম খাচ্ছে সেখানকার সরকার।
 
 কানাডা থেকে বাড়ি তৈরির কাঠ নিয়ে আসতে চাইছে সেখানকার সরকার। তবে এতটা দীর্ঘ পথ পার করে যদি কাঠ নিয়ে আসা হয় তাহলে যে খরচ হবে তা যোগাড় করতে হিমসিম খেতে হবে। পাশাপাশি যাদের বাড়ি তৈরি করা হবে তারা এখন পথের ভিখারি। ফলে সেখান থেকে টাকা আসার কোনও উপায় নেই। 
 
 এখানকার বাসিন্দাদের বাড়তি চাপ হয়েছে কাজের অভাব। ফলে সেখান থেকে যদি মানুষের হাতে কাজ না থাকে তাহলে তারা ফের কীভাবে নিজেদের অবস্থার উন্নতি করবে। সপ্তাহের পর সপ্তাহ কেটে গেলেও পরিস্থিতি বদলায়নি। তাই এটিও একটি বাড়তি চিন্তা প্রশাসনের মাথায়।
 
 মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যেই কানাডা থেকে আসা জিনিসের রপ্তানিতে ২৫ শতাংশ ট্যারিফের ঘোষণা করেছেন। এরফলে সেখানে আরও বেশি চাপ তৈরি হয়েছে। নতুনভাবে বাড়ি তৈরি করতে সেখানে এখন যে পরিমান টাকার দরকার তা যোগাড় করাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ। এখানকার বাসিন্দারা এখন সকলেই তাকিয়ে রয়েছেন নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিকে। যদি তিনি আসরে নেমে বিশেষ কোনও আর্থিক সহায়তা দেন তাহলে এখানকার বাসিন্দারা হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। 
 
 যেভাবে কাঠের বাড়ি তৈরি করতে খরচ হবে সেদিকে যদি দেখা যায় তাহলে বহু কোটি টাকার খেলা রয়েছে। অন্যদিকে সদ্য সিংহাসনে বসা ট্রাম্প এখনই দুম করে এত টাকা ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। তাই সেখানেও ব্যাকফুটে চলে গিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দারা। 
