আজকাল ওয়েবডেস্ক: দমকলকর্মীরা এখনও টানা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে দাবানলের আগুনকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেন না। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত এবার হাজির হয়েছে গরম হাওয়া। এই গরম হাওয়া নতুন করে সমস্যা তৈরি করেছে। যে শুকনো ছাই ছিল সেখান থেকে ফের নতুন করে ধোঁয়া উঠতে শুরু করেছে। ফলে সেগুলিকে ফের একবার নেভানোর কাজ করা হচ্ছে।
 
 একজন দমকলকর্মী জানালেন যেভাবে লস অ্যাঞ্জেলসে দাবানলের আগুন লেগেছিল তাতে একে বাগে আনতে ঠিক কতটা সময় লাগবে তা এখনও বলা যাচ্ছে না। কেটে গিয়েছে এক সপ্তাহ। এরপর যেভাবে বুধবার রাত থেকে শুকনো গরম হাওয়া বইতে শুরু করেছে তাতে সেখান থেকে এই আগুনকে কাবু করা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। 
 
 এখানে নতুন করে বড় আগুনের খবর না থাকলেও গোটা এলাকায় এখনও জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছেন সেখানকার বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। সেখানকার মেয়র জানিয়েছেন, কতদিন পর ফের স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরবে তা নিয়ে কোনও বার্তা দেওয়া যাচ্ছে না। গোটা এলাকায় বিদ্যুৎ নেই, জল নেই, বহু কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যে জল বর্তমানে রয়েছে তাকে খাবারের কাজে লাগানো হবে নাকি আগুন নেভানোর কাজে লাগানো হবে তা নিয়েই সকলেই চিন্তিত। 
 
 গোটা এলাকায় এখন বইছে তীব্র শুষ্ক বাতাস। এই বাতাস অতি গরম। ফলে গোটা এলাকার তাপমাত্রা বাড়ছে। এখানে এই তাপমাত্রায় কাজ করাও কঠিন হয়েছে সকলের কাছে। ফলে যারা দিনরাত এক করে কাজ করছেন তারাও পড়েছেন মহা সমস্যায়। এই দাবানলের জেরে এখনও পর্যন্ত ২৫ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। ৮২ হাজারের বেশি মানুষ সরকারি আশ্রয়ে রয়েছেন। তাদেরকে আলাদা করে নজরে রাখা হয়েছে। 
 
 কবে থেকে দাবানলকে আয়ত্তে আনা যাবে তা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন সকলেই। কয়েকটি জায়গায় আগুনের শিখা কমেছে বলে সেখানকার বাসিন্দারা নিজেদের বাড়ি থেকে শেষ সম্বল খোঁজার কাজ করছেন। তবে সেখানে ছাই ছাড়া কিছুই মিলছে না। তবে দমকল বিভাগ মনে করছে যদি এই গরম হাওয়া বন্ধ না হয় তাহলে আগামী কয়েকদিনে পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হবে। 
