আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাস্তায় বেরিয়ে অধৈর্য হয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। এক ঘণ্টার রাস্তা যেতে সময় লাগে ১.৪৫ মিনিট। কারণ? অত্যধিক ট্রাফিক জ্যাম। সরু রাস্তায় ধাক্কা লাগার উপক্রম গাড়িতে গাড়িতে। আর যত বাড়ছে গাড়ি, ততই বাড়ছে দূষণ। কিন্তু ব্যস্ততার জীবনে, মানুষ দ্রুত গতির সঙ্গে পাল্লা দিতে স্বাভাবিক ভাবেই বেছে নিচ্ছে গাড়িকে। 

 

পরিসংখ্যান বলছে, ২০২৪ সালে বিশ্বে গাড়ির পরিমাণ বেড়েছে বহুগুণ। হিসেব বলছে, বিশ্বে প্রতি ৫.৫ জনে একটি করে গাড়ি রয়েছে, বা ১০০০ জনর জন্য রয়েছে ১৮২টি গাড়ি। অন্যদিকে এটাও জানা যাক, একটি সাধারণ যাত্রীবাহী গাড়ি প্রতিবছর প্রায় ৪.৬ মেট্রিক টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত করে। অর্থাৎ সেটিকে যদি মোট গাড়ির সংখ্যার হিসেবে ভাবা যায়, তাহলে যে পরিমাণ হয়, তা আঁতকে ওঠার মতোই।

 

এসবের মাঝেই ভাবনাও ভাবেন অনেকে, কেমন হয়, যদি গাড়ি না থাকে। অনেকেই এই ব্যস্ততার জীবনে একথা ভাবতেই পারেন না। আপাতভাবে তা অসম্ভব মন হলেও, বেশ কিছু শহর কিন্তু তা করে দেখিয়েছে। অর্থাৎ সেখান গাড়ির হর্ন নেই, জ্যাম নেই, নেই দূষণ। 

 

 

এই শহরগুলির মধ্যে প্রথমেই নাম আসে সুইজারল্যান্ডের জেরম্যাটের। ম্যাটারহর্নের পাদদেশে অবস্থিত। সেখানে ব্যাক্তিগত গাড়ির ব্যবহারে হয়েছে নিয়মাবলী। আর রয়েছে ঘোড়ায় টানা গরু, ই ট্যাক্সি, মাউন্টেন বাইক। বাকি পথ হেঁটেই ঘুরতে হবে। এছাড়াও কেনিয়ার লামু রয়েছে তালিকায়। ওই শহরে নিষিদ্ধ গাড়ি। তালিকায় রয়েছে বেলজিয়ামের ঘেন্ট, গ্রিসের হাইড্রা, নেদারল্যান্ডসের গিয়েথর্ন, মেক্সিকোর ইয়েলাপা।