আজকাল ওয়েবডেস্ক: একদিকে হ্যালো কিটি, অন্যদিকে বন্ডেজ থিমে সাজানো ঘর। কোথাও সায়েন্স ফিকশন, কোথাও জেলখানার ঘর, তো কোথাও আবার অ্যাকোয়ারিয়ামের নীচে জলের মাঝে প্রেমের মঞ্চ! জাপানের ‘লাভ হোটেল’ এখন আর কেবল প্রেমিক যুগলের গোপন ঠিকানা নয়—এ এক পরিণত রোমাঞ্চের রঙিন আস্তানা।

‘রেস্ট’ নামেই বুকিং হয়, ঘণ্টাপিছু বা রাতভর—নির্বিঘ্নে, নির্জনতার প্রতিশ্রুতি নিয়ে। পরিচয় লুকোনো বাধ্যতামূলক নয়, কিন্তু গোপনীয়তা এখানে ঈশ্বরসম। কাউন্টারেও কারও চোখের দিকে তাকাতে হয় না, কারণ বুকিং হয় ভেন্ডিং মেশিনে, কখনও কালো কাচের পেছনে থাকা রিসেপশন থেকে। প্রেমের নামে টোকিওর ব্যস্ততা বা ওসাকার অন্ধকার গলির নিচে গোপনে তপ্ত হয় রক্ত। মসৃণ চামড়ার বেড, ঘরের দেয়ালে লাল আলো, কর্কশ হাসিতে ভেসে ওঠা কারাওকে—এ যেন প্রাপ্তবয়স্কদের খেলার ঘর!

একসময় এডো যুগের ‘চা ঘর’ ছিল প্রেমের গোপন জায়গা। আজ সেই চা কাপে পড়েছে নীয়ন আলো—‘লাভ হোটেল’ এখন জাপানের যৌন সংস্কৃতির এক চুপচাপ বিস্ফোরণ। কেবল প্রেম নয়, কখনও নিজের সঙ্গেই কাটানো নিভৃত সময়ের জন্যও বুক হয় এই ঘর, যেখানে কেউ কিছু জিজ্ঞেস করে না। জাপানে এমন প্রায় ৩৭ হাজার হোটেল ছড়িয়ে ছিটিয়ে, শহর থেকে গ্রামে। আর আজ এ সংস্কৃতি ছড়াচ্ছে থাইল্যান্ড, ব্রাজিল, এমনকি ভারতেও, ওয়ো’র ঘরে। যদিও এখানকার সমাজ এখনও ‘রেস্ট’-এর ছুতোয় প্রেম মানতে শেখেনি।

কিন্তু একবার ঢুকলে, এই হোটেলগুলো আর কেবল হোটেল থাকে না—ওরা হয়ে ওঠে ইচ্ছের নিঃশব্দ দোসর।