আজকাল ওয়েবডেস্ক: চরম উত্তেজনা পশ্চিম এশিয়ায়। ইজরায়েল-ইরান দ্বন্দ্বে এবার সরাসরি হস্তক্ষেপ করল আমেরিকা। ইরানের তিনটি পরমাণু ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজে জানান যে, ইরানের ফোর্ডো, নাটাঞ্জ ও ইসফাহানে পরমাণু ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। এই হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভয়ঙ্কর বি-২ স্টেলথ বোমা। ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয় তেহরানও। মার্কিন হামলার নিন্দা করেছে ইরান। ট্রাম্পের ঘোষণার পর পরই ইজরায়েলের শহরে মিসাইল ছোড়া হয়েছে বলে দাবি করেছে ইরানের প্রতিরক্ষা বাহিনী। 

রবিবার এক্স পোস্টে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী সূত্রে জানা গিয়েছে, হাফিয়া এবং তেল আভিভ- এ ইরানের প্রতিরক্ষা বাহিনী ২৭টি মিসাইল ছুড়েছে। এই হামলায় কমপক্ষে ১১ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। 

?ref_src=twsrc%5Etfw">June 22, 2025

 

ইজরায়েলের প্রতিরকক্ষা বাহিনীর দাবি, ইরানের ছোড়া মিসাইলগুলি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। 

 

?ref_src=twsrc%5Etfw">June 22, 2025

মার্কিন সামরিক আগ্রাসনের নিন্দা করে এ দিন ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতি দিয়েছে। ওয়াশিংটনের পদক্ষেপ রাষ্ট্রসংঘের সনদের মৌলিক নীতি এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে সোচ্চার তেহরান। ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান এই গুরুতর অপরাধের অত্যন্ত বিপজ্জনক পরিণতির জন্য যুদ্ধপ্রবণ এবং আগ্রাসী মার্কিন সরকারকে সম্পূর্ণরূপে দায়ী করেছে।

তেহরানের দাবি, আমেরিকার এই আচরণ আসলে ইসলামী ইরানের শান্তিপ্রিয় এবং স্বাধীনতাকামী জনগণের প্রতি মার্কিন শাসকগোষ্ঠীর শত্রুতা এবং ঘৃণার তীব্রতা তুলে ধরে। মার্কিন সামরিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করে প্রতিরোধ করার এবং ইরানের নিরাপত্তা ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষার অধিকার ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের রয়েছে। 

মার্কিন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘের ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়েছে ইরান। বিবৃতিতে উল্লেখ, 'আমরা রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানাতে এবং আন্তর্জাতিক নিয়ম ও নীতির স্পষ্ট লঙ্ঘনের জন্য আমেরিকাকে জবাবদিহি করার জন্য একটি জরুরি অধিবেশন ডাকার আহ্বান জানাচ্ছি।'