আজকাল ওয়েবডেস্ক: শুক্রবার বৈঠক। আর এখন নজর এই বৈঠকের দিকেই। কাদের মধ্যে হবে এই বৈঠক? রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী তথ্য, জার্মানি, ফ্রান্স এবং ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা শুক্রবার জেনেভায় আলোচনায় বসতে চলেছে ইরানের সঙ্গে। একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, সরাসরি ইরানের সঙ্গে বৈঠকের আগে তিন দেশের মন্ত্রীরা প্রথমে জেনেভায় জার্মানির স্থায়ী মিশনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কূটনীতিক কাজা কাল্লাসের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।
প্রশ্ন? কেন ইরান বৈঠকে বসতে রাজি হচ্ছে? তাহলে কি জোট-বন্ধুদের নীরবতা, আমেরিকার হুমকির মাঝেই পরিস্থিতি বুঝে নতি স্বীকার করতে চলেছে খামেনেইয়ের দেশ।
কিন্তু বৈঠকের মূল বিষয় কী? রয়টার্সের প্রতিবেদনের তথ্য, কাজা কাল্লাসের সঙ্গে বৈঠকের পর তিন দেশের মন্ত্রী ইরানের বিদেশমন্ত্রী আরাকচির সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন মূলত ইরানের প্রতিশ্রুতি আদায়ের জন্য। সূত্রের খবর, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি মূলত ইরানের থেকে প্রতিশ্রুতি আদায় করতে চায়- বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং নাগরিক স্বার্থ ছাড়া ইরান আর কোনও কাজে পরমাণু শক্তির ব্যবহার করবে না।
ইজরায়েল প্রথম থেকেই ইরানের পরমাণু স্থাপনা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছে। বুধবার হোয়াইট হাউসের সামনে দাঁড়িয়ে একই কথা বলেছেন ট্রাম্প। তিনি দাবি করেছেন, এক দশকের বেশি আগে থেকেই তিনি বলে আসছেন, ইরানকে পরমাণু বোমা বানাতে দেওয়া উচিতই না। ইরান আবার প্রথম থেকেই জানিয়েছে তারা সামরিক স্বার্থে ব্যবহার করবে না পরমাণু শক্তি। তারপরেও উদ্বেগের কোনও অবকাশ রাখতেই চাইছে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সূত্রের খবর তেমনটাই।
