আজকাল ওয়েবডেস্ক: রবিবার ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলিতে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। সেই হামলা নিয়ে এবার মুখ খুললেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেনেই। আমেরিকা ও ইজরায়েলকে নিশানা করেছেন তিনি। হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, "শত্রুরা মারাত্মক ভুল করেছে, শাস্তি পেতে হবে।"
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে মার্কিন হামলার বিষয়ে নিজের প্রথম প্রতিক্রিয়া সোশ্যাল মিডিয়া এক্স-এ শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন, "শাস্তি অব্যাহত রয়েছে। ইহুদিবাদী শত্রুরা একটি বড় ভুল করেছে, একটি বড় অপরাধ করেছে; তাদের শাস্তি পেতে হবে এবং তাদের শাস্তি দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে; তাদের এখনই শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।"
#همین_حالا
— KHAMENEI.IR | فارسی ???????? (@Khamenei_fa)
مجازات ادامه دارد
دشمن صهیونی یک اشتباه بزرگی کرده، یک جنایت بزرگی را مرتکب شده؛ باید مجازات بشود و دارد مجازات میشود؛ همین حالا دارد مجازات میشود.#الله_اکبر pic.twitter.com/wH6Wk9nNhJTweet by @Khamenei_fa
রবিবার ইরানের ফোর্দো পারমাণবিক কেন্দ্র সংলগ্ন পাহাড়ের উপর ৩০,০০০ পাউন্ড ওজনের ‘বাঙ্কার-বাষ্টার’ বোমা ফেলেছে মার্কিন যুদ্ধবিমান। ফোর্দো ছাড়াও আরও দু'টি পারমাণবিক কেন্দ্রকে নিশানা করা হয়। ইরানের দাবি, ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে এই হামলা ছিল সবচেয়ে গুরুতর পশ্চিমি সামরিক পদক্ষেপ।
মার্কিন হামলার পরই ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান আমেরিকাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, 'আমেরিকাকে তাদের আগ্রাসনের জবাব দিতেই হবে।' এক ফোনালাপে ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাঁক্রোকেও তিনি এই একই কথা জানান। এই পদক্ষেপকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বলে বর্ণনা করেন তিনি।
আমেরিকার আক্রমণের পরই ইজরায়েলে তেল আভিভ-সহ একাধিক শহরে হামলা চালায় তেহরান। জানা গিয়েছে এই হামলায় কমপক্ষে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে, জখম বহু। পাল্টা ইরানে আক্রমণের দাবি করে ইজরায়েলও। ভয়াবহ যুদ্ধের এই পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি বৈঠক চেয়ে আবেদন করেছে তেহরান। ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সইদ ইরাভানি পরিষদে বলেন, 'ইজরায়েল ও আমেরিকা কূটনীতি ধ্বংস করেছে। আন্তর্জাতিক চুক্তির অপব্যবহার করেছে।' তাঁ অভিযোগ, পরমাণু অস্ত্র প্রসারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চুক্তি এখন একটি রাজনৈতিক অস্ত্রে পরিণত হয়েছে, যা নিরপেক্ষতার বদলে পক্ষপাতদুষ্ট হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।
ইরাভানি পরিষদে বলেন, "পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের বৈধ অধিকার রক্ষার বদলে এখন এই চুক্তিকে আগ্রাসনের অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে আমাদের দেশের নিরাপত্তা বিপন্ন হয়েছে।"
রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিব আন্তনিও গুটারেস হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, "মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইরানি পারমাণবিক কেন্দ্রে বোমা হামলা একটি বিপজ্জনক মোড়। আমাদের অবশ্যই অবিলম্বে এবং সিদ্ধান্তমূলকভাবে পদক্ষেপ করতে হবে। যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় ফিরতে হবে।"
