আজকাল ওয়েবডেস্ক: টাকার বৃষ্টি। কপাল ফিরলে যা হয় সেটাই হল। সন্দীপ কুমার প্রসাদ নামে এক ব্যক্তি দুবাইতে টেকনিশিয়ানের কাজ করতেন। তবে তার নেশা ছিল লটারির টিকিট কাটা। বাড়িতে বহুবার বলেও কাজ হয়নি। তবে যার কপালে যেটা হওয়ার সেটাই হয়ে থাকে। দুবাইতে তিনি সেখানকার একটি লটারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে জিতলেন ১৫ মিলিয়ন দিরহাম। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩৫ কোটি টাকা।
এই পুরষ্কারটি একেবারে প্রথম ছিল। ফলে সেখান থেকে তার খুশির সীমা ছিল না। চলতি মাসের ৩ তারিখ লাকি ড্র হয়। সেখান থেকেই দেখা যায় সন্দীপ প্রথম পুরষ্কারটি পেয়েছেন। দুবাইয়ের পত্রিকাতে তার ছবি দিয়ে খবরটি প্রকাশিত হয়েছে। ৩০ বছরের সন্দীপ দুবাইতে একটি সংস্থাতে টেকনিশিয়ানের কাজ করেন। তিনি আসলে উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: কাজ করছে না বিষের ওষুধ, কারণ জানলে আতঙ্ক বাড়বে
১৯ আগস্ট দুবাই থেকে তিনি টিকিটটি কেনেন। এরপরই দেখা যায় তার নম্বরটি মিলে গিয়েছে। ২০ জনের মধ্যে তিনি ছিলেন প্রথম পুরষ্কার বিজয়ী। টানা লটারি টিকিট কাটা তার অভ্যাস। সেখানই তিনি সকলকে বাজিমাত করলেন। কখনই তিনি কোনও বড় মাপের টাকা পাননি। তবে এবার যে অর্থ তার হাতে এল তাতে তিনি একেবারে হতবাক।
তবে এই টাকা জেতার পর নিজের মনের কথা জানিয়েছেন সন্দীপ। তিনি জানিয়েছেন তিনি এই টাকা দিয়ে তার বাবার চিকিৎসা করাতে চান। পাশাপাশি পরিবারের জন্য বাকি টাকা খরচ করতে চান। তিনি আর বিদেশে থাকতে চান না। এবার নিজের দেশে ফিরে তিনি একটি ব্যবসা শুরু করতে চান।
এক সাক্ষাৎকারে সন্দীপ জানিয়েছে তিনি এই টাকা জিতে খুব খুশি। লটারি সংস্থাকেও তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সন্দীপের মতে, যদি চেষ্টা করা হয় তাহলে জিততে অসুবিধা হয় না। সন্দীপ বিবাহিত। তার দুই ভাই এবং এক বোন রয়েছে। বিদেশে থেকেও সেখান থেকে পরিবারের জন্য টাকা পাঠাতেন সন্দীপ। তার বাবার অসুস্থতা নিয়ে বহুদিন ধরেই চিন্তায় ছিলেন তিনি। তবে এই গেম চেঞ্জার তার জীবনকেই বদলে দিল। এবার তিনি দেশে ফিরে পরিবারের সঙ্গে কাটাতে চান।

প্রসঙ্গত, ধার করে লটারির টিকিট কেটে হলেন কোটিপতি কলমিস্ত্রী। এবার স্ত্রীর কিডনি অসুখের চিকিৎসা করাবেন হুগলির কলমিস্ত্রী সুজিত। মাত্র ৩০ টাকার লটারি টিকিট কেটে রাতারাতি কোটিপতি হলেন হুগলির কোন্নগর কানাইপুর কলোনির সুজিত মন্ডল।
জানা গিয়েছে, গত সোমবার কোন্নগর বাজার সংলগ্ন একটি লটারি কাউন্টার থেকে ৩০ টাকায় লটারির টিকিট কেনেন সুজিত। ফল বেরোতেই দেখা যায় তিনি যে টিকিট কেটেছিলেন সেই টিকিটেই এক কোটি টাকা পুরস্কার লেগেছে। প্রথমে তিনি নিজের কাছেই বিশ্বাস করতে পারেননি। পরে দেখেন তাঁর টিকিটে কোটি টাকার পুরস্কার লেগেছে। দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে তাঁর অভাবের সংসার। বর্তমানে তাঁর স্ত্রীর কিডনির অসুখ। এর জেরে সুজিত বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা করিয়েছেন। এমনকী সরকারি হাসপাতালে ভর্তিও রেখেছেন। কিন্তু স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য যে অর্থের প্রয়োজন সেই অর্থ সুজিত কোনওভাবেই যোগাড় করতে পারছিলেন না।

অবশেষে এক রাতেই ভাগ্য ফিরে তাঁর। ১ কোটি টাকা লটারিতে জিতে প্রথমেই স্ত্রী'র চিকিৎসা করাতে চান সুজিত। তিনি বলেন, 'পুরস্কার জিতেছি ভালো লাগছে। হিসেব করলে দেখা যায়, চার থেকে পাঁচ বছর ধরে আমি টিকিট কাটছি। কোনওদিন এক কোটি টাকার পুরস্কার জিতব এটা আশা করিনি। স্ত্রী'র দুটো কিডনি খারাপ। এখন তাঁর চিকিৎসা করাবো।' লটারি বিক্রেতা জানান, 'ধারে টিকিট কাটেন সুজিত।অনেক সময় দোকানে এসে টিকিট পছন্দ করে বলে যান সেটি রেখে দিতে। আমি নাম লিখে টিকিট ব্যাগে ঢুকিয়ে রাখি। এখনও ১৮০ টাকা পাব ওর থেকে। যে টিকিকে লটারি লেগেছে সেটা আমার ব্যাগেই ছিল। লটারি লাগতেই খবর জানতে পারি। খুব ভালো লাগছিল শুনে। তাড়াতাড়ি দোকান বন্ধ করে সুজিতকে তাঁর বাড়িতে গিয়ে টিকিট দিয়ে নিশ্চিন্ত হই। আমি ওকে বলেছি টিকিটের দাম এখনও বাকি আমাকে ১৫ লাখ টাকা দিতে হবে।'
