আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন ঘটিয়ে সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসের ক্ষমতা দখল করেছে বিদ্রোহী বাহিনী। সেই শহরকে 'স্বাধীন' বলেও ঘোষণা করেছে তারা। যা সিরিয়ার বিগত ১৩ বছরের গৃহযুদ্ধের নয়া মোড় বলে মনে করা হচ্ছে। বিদ্রোহীদের আক্রমণের মধ্যেই আসাদ রাজধানী ছেড়ে বিমানে পালান বলে খবর রটে যায়। তবে তাঁর গন্তব্য জানা যায়নি। আসাদের অন্তর্ধানকে ঘিরে রহস্য দানা বাঁধে। শুরু হয় জল্পনা।

এসেব মধ্যেই খবর আসে, দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করার সময় প্রেসিডেন্ট বাসার-আল-আসাদের বিমানটি গুলি করে মাটিতে নামানো হয়েছিল। ফ্লাইটরাইডারের দেওয়া তথ্য তথ্য অনুসারে, সিরিয়ান এয়ার ৯২১২ বিমানটি দেশ থেকে শেষ উড়েছিল। ওই বিমান উপকূলের দিকে এগিয়ে যায়। পরে সেটি ইউটার্ন করে। এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিমানটি ওয়েবসাইটের লাইভ মানচিত্র থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। আলজাজিরা-র দেওয়া তথ্য অনুসারে ওই বিমানকে সর্বশেষ হোমসের উপর দিয়ে প্রদক্ষিণ করতে দেখা যায়।

তবে কী আসাদের বিমান দুর্ঘটনার কবলে পড়ল? আর তাতেই ক্ষমত সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার-আল-আসাদ? এই জল্পনা তীব্র হয়। তবে আসাদের বিষয়ে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কেই কেনও মুখ খোলেনি। 

নানা কথা বলছেন নেটিজেনরা। সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বা যান্ত্রিক ব্যর্থতার প্রমাণ হিসাবে বিমানের আকস্মিক উচ্চতা হ্রাসের দিকে ইঙ্গিত করেছেন নেটিজেনরা। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, "হঠাৎ নিখোঁজ হওয়া এবং উচ্চতা বদল ইঙ্গিত করে যে বিমানটিকে গুলি করা হয়েছে!!" লেবাননের আকাশসীমার কাছে ৩,৬৫০ মিটার থেকে মাত্র ১,০৭০ মিটার পর্যন্ত বিমানের দ্রুত অবতরণ হয়েছে বলে ঘরা পড়েছে। 

উল্লেখ্য, আসাদ সরকারের বিরুদ্ধেই সিরিয়ার বেকার যুবক, তরণ-তরুণী ও মানুষের বৃহৎ অংশের ক্ষোভ ছড়িয়েছিল। যা ক্রমশ গৃহযুদ্ধের আকার ধারণ করে। যা দমন করতে গেলে আসাদ সরকার পরিস্থিতি আরও জচিল করে তোলে। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে ইন্ধন দেয় পররাষ্ট্র শক্তিও। যা আসাদ সরকারর পতন তরান্বিত করে।