আজকাল ওয়েবডেস্ক: হজযাত্রায় রইল না কোনও বাধা। এবার ১৫০ টি দেশের ১.৬ মিলিয়ন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা হজ যেতে পারবেন। সেখানে রয়েছে ভারতীয়রাও। সৌদি সরকার হজযাত্রায় যে নিধেধাজ্ঞা জারি করেছিল সেখান থেকে তারা সরে গিয়েছে।
চলতি বছরে ভারত থেকে ১.৭৫ লাখ মুসলিম হজযাত্রার জন্য নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। এরা সকলেই হজযাত্রায় যেতে পারবেন বলেই খবর মিলেছে।
কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সৌদি সরকার নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার পর তারা সমস্ত ধরণের ব্যবস্থা করছেন। এবারের হজ যাত্রা হবে ঐতিহাসিক। প্রসঙ্গত, ভারত-সহ ১৪টি দেশের নাগরিকদের জন্য নির্দিষ্ট কিছু ভিসা প্রদান সাময়িক ভাবে স্থগিত করেছিল সৌদি আরব। জুনের মাঝামাঝি পর্যন্ত উমরাহ, ব্যবসায়িক এবং পারিবারিক ভিসা দেবে না বলে জানিয়েছিল তারা। অর্থাৎ হজ শেষ হওয়া পর্যন্ত ভিসা প্রদান বন্ধ থাকবে। ভারত ছাড়া ভিসা না পাওয়ার তালিকায় ছিল পাকিস্তান, বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, নাইজেরিয়া, জর্ডন, আলজেরিয়া, সুদান, ইথিওপিয়া, তিউনিসিয়া, ইয়েমেন এবং মরক্কোর নাগরিকরা।
প্রতি বছর প্রতিটি দেশের জন্য একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক হজযাত্রীদের সংখ্যা বেঁধে দেয় সৌদি আরব। ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্যই এই ব্যবস্থা। কিন্তু একাংশের মানুষ এই ব্যবস্থাকে এড়িয়ে হজযাত্রায় যান। অতীতে অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে, উমরাহ বা পারিবারিক ভিসায় সৌদিতে প্রবেশ করে, সরকারি অনুমোদন ছাড়াই হজ করছেন বিদেশিরা।
এর ফলে অতিরিক্ত ভিড় তৈরি হয়। সৌদির তীব্র গরমে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে হজযাত্রীদের প্রাণের ঝুঁকি তৈরি হয়। ২০২৪ সালের হজের সময় এমন এক ঘটনায় কমপক্ষে ১,২০০ জন হজযাত্রীর পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল। এই ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে, তা নিশ্চিত করতেই এই পদক্ষেপ সৌদি কর্তৃপক্ষের। তবে উমরাহ ভিসা আছে যাঁদের, তাঁরা ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত সৌদি আরবে প্রবেশ করতে পারবেন।
এছাড়া সৌদির এই পদক্ষেপের পিছনে আরও এক বড় কারণ ছিল অবৈধ কর্মসংস্থান আটকানো। সৌদি কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্যবসায়িক বা পারিবারিক ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে প্রবেশ করে অনেক সময়েই বিদেশি নাগরিকরা সেই দেশে বিভিন্ন ধরনের কাজে নিযুক্ত হন। এতে সৌদির শ্রমবাজারে সমস্যা তৈরি হচ্ছে।
