সুমনা আদক: ৯০ এর দশক থেকে ব্রিটেনে ‘গ্রুমিং গ্যাং’ এর কাহিনি গুলো মেরুদণ্ড শীতল করে দেয়। আজকাল ‘গ্ৰুমিং গ্যাং’ শব্দটা ঘুরছে সংবাদমাধ্যমের পাতায় পাতায়। এলন মাস্ক পর্যন্ত মুখ খুলেছেন এতদিনে। কেইর স্টার্মার এর সরকার এখন বেশ চাপের মুখে গোটা বিশ্বের কাছে।
ইংল্যান্ডের রোদারহ্যাম, ওল্ডহ্যাম সহ বিভিন্ন এলাকায় ৯–১০ বছর বয়সী মেয়েদের পাকিস্তান বংশোদ্ভূত কিছু যুবক প্রলুব্ধ করে প্রেমের ফাঁদে নিয়ে গিয়ে নিজেরা এবং আত্মীয়স্বজনের দ্বারা নির্যাতন করত নিয়মিত। তাঁরা একত্রিত হয়ে মুখ খুলেছে এতদিনে। অল্পবয়সী এশিয়ান এবং শ্বেতাঙ্গ যুবতীদের নির্যাতন এমনকী ধর্ষণের মতো ঘটনায় এতদিন কর্ণপাত করেনি ব্রিটেন সরকার। কারণ হিসাবে জানা যায়, এরকম অভিযোগ নাকি ব্রিটেনের সংস্কৃতির এবং সংবেদনশীলতার বাইরে। প্রশ্ন উঠছে। ১৪ বছরের জিশিকা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিল, মনের অবস্থা সত্যিই ভয়াবহ। মনে হত পৃথিবীতে তিনিই একমাত্র পুরুষ যাকে ছাড়া বাঁচা অসম্ভব। পরবর্তীকালে চলত ধর্ষণ আর হুমকি। ১৬ বছরের লুসি লো ‘গ্ৰুমিং গ্যাং’–য়ের শিকার হয়ে আগুনে ঝলসে পরিবার সমেত মারা যায়। লুসির হত্যাকারী ছিল ২৬ বছরের ট্যাক্সি চালক আজহার মেহমুদ। মেহমুদ ছিল ‘গ্ৰুমিং গ্যাং’ এর সদস্য। পরবর্তীকালে মেহমুদ মুক্তি পেয়ে যায়। কারণ ছিল সংবেদনশীলতা। দিনের পর দিন এই গ্যাং নির্যাতিতাদের গৃহবন্দী করে নিজেদের কার্যকলাপ চালিয়ে যেত নির্বিকারভাবে। ঘটনার সূত্রপাত কয়েক বছর আগে। সময়ের সঙ্গে ক্রমশ প্রকাশ্য।
১৫ বছরের এক নাবালিকা স্কারলেট ধর্ষিত হল কিছুদিন আগে। শিরোনামে সেই ‘গ্রুমিং গ্যাং’। ফার্স্ট ওয়াল্ড কান্ট্রির এমন ভয়াবহতা হাড়হিম করে দিয়েছে বিশ্বকে। কিসের গ্ৰুমিং? কেনই গ্ৰুমিং যেখানে সবার সমান অধিকার সেই দেশে গ্ৰুমিং এর নামে ভয়ঙ্কর প্রতারণা রীতিমতো প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে সেদেশের পুলিশি ব্যবস্থাকে।
গ্ৰুমিং গ্যাং এর কার্যকলাপ নিয়ে রীতিমতো স্তব্ধ বিদ্দ্বজ্বনেরা। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত গুটিকয়েক মানুষ বিরাট নেটওয়ার্ক ছড়িয়েছে ব্রিটেন জুড়ে। যার পরিচালনার স্তম্ভ রয়েছে লাহোর শহরের বিভিন্ন জায়গায়। ব্রিটিশ গ্ৰুমিং গ্যাং নিয়ে টলমল এদেশের রাজনীতি থেকে প্রশাসন। এক শতাব্দীর বেশি হাজার পুরুষ দ্বারা অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েরা ধর্ষিত হওয়ার ঘটনা ব্রিটেনে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চললেও বর্তমান বিরোধীদের চাপের মুখে সে দেশের সরকার।
