আজকাল ওয়েবডেস্ক: জলের নিচে সবথেকে বেশি ভয়ঙ্কর প্রাণী হিসাবে যার নাম সবার উপরে উঠে আসে সেটি হল শার্ক বা হাঙর। একটি হাঙর যদিও বেশিদিন বেঁচে থাকে না। কারণ তাদের লড়াই করার মানসিকতা তাদেরকে দ্রুত শেষের দিকে নিয়ে চলে যায়।
তবে গ্রিণল্যান্ডে রয়েছে পৃথিবীর সবথেকে প্রবীণ হাঙর। এর বয়স আনুমানিক ৫০০ বছর। জলের একেবারে নিচে ঘাপটি মেরে বসে থাকে সে। কাছ দিয়ে কোনও প্রাণী গেলেই তাকে সাবাড় করে ফেলে সে। নর্থ আটলান্টিক এবং আর্কটিক সাগর এর প্রধান বাসস্থান। সেখানেও সে ঘুরে বেড়ায়। এতগুলি বছর ধরে কোনও হাঙর বেঁচে থাকে না। তাই তাকে নিয়ে বিজ্ঞানীদের কৌতুহল চরমে।
২১১ বছর ঘরে হোয়েলের বেঁচে থাকার রেকর্ড রয়েছে। তবে তাকে ছাপিয়ে গিয়েছে এই হাঙর। হাতের কাছে যা পায় সেটি খেয়ে নেয় এই হাঙর। ফলে গ্রিণল্যান্ডের মতো শীতল পরিবেশ তার বয়সকে বাড়িয়ে দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা মনে করছে এই হাঙর বিরলের মধ্যে বিরলতম। তাই এতগুলি বছর ধরে নিজেকে বাঁচিয়ে রেখেছে সে।
গ্রিণল্যান্ডের মধ্যে অন্য হাঙরদের উপরেও বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করেছেন। সেখান থেকেও তারা দেখেছেন এই ধরণের হাঙরের প্রজাতিরা অনেক বেশি বয়স ধরে বেঁচে রয়েছে। তাদের দেহ শীতল পরিবেশে এমনভাবে মানিয়ে নিয়েছে যে সেখান থেকে তাদেরকে বেশি সময় ধরে বাঁচিয়ে রেখেছে। এই ধরণের পরিবেশ থেকে এরা কখনই নিজেদেরকে সরিয়ে নিয়ে অন্য সাগরে যায় না। ফলে সেখান থেকে এদের দেহের আয়ু অনেক বেশি হয়ে যায়।
এখানে হাঙর শিকারীদের সংখ্যাও বেশ কম থাকে। ফলে তারা নিরাপদে থাকে। জলের নিচে একেবারে শীতল পরিবেশে থাকে বলে এদের দেহে নানা ধরণের ব্যাকটেরিয়া জন্ম নেয়। তারা এই হাঙরদের দেহে থেকে নানা ধরণের জীবানুকে খেয়ে নেয়। ফলে এরা বহু বছর ধরে রোগ থেকে নিজেদের মুক্ত করে রাখে। তারফলে এরা দীর্ঘ বছর ধরে বেঁচে থাকে।
