আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রাণের কেন্দ্র তৈরি হয় অক্সিজেন দিয়ে। যদি এই অক্সিজেন পরিবেশ থেকে কমতে শুরু করে তাহলে সেটা হবে বিরাট একটি সমস্যা।
অক্সিজেন থেকেই আমরা শ্বাসগ্রহণ করে থাকি। এর সঙ্গে জড়িত রয়েছে কার্বন এবং নাইট্রোজেনের হারও। তবে বিজ্ঞানীদের কাছে এবার বিরাট অশনি সঙ্কেত এসেছে। সেখান থেকে দেখা গিয়েছে জলের নিচের জগত থেকে ধীরে ধীরে কমছে অক্সিজেনের মাত্রা। এই অবস্থাকে বলা হয় হাইপক্সিয়া। বিশ্বের বিভিন্ন অংশেই এই সমস্যা তৈরি হয়েছে। এরফলে জলের নিচে মরা মাছের সংখ্যা বাড়ছে, নষ্ট হচ্ছে জলের মান।
এটা অনেকেই জানেন নদী, সমুদ্র, লেক, পুকুর পৃথিবীর লুকিয়ে থাকা হৃৎপিন্ড। যেমন জলের উপরে থাকা প্রতিটি প্রাণীর অক্সিজেন লাগে। ঠিক তেমনভাবে জলের নিচে থাকা প্রাণীদেরও অক্সিজেন লাগে। এই জায়গা থেকে এরা অক্সিজেন পেয়ে বেঁচে থাকে। আটারচিট বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে বিগত এক দশক ধরে জলের নিচের এই অক্সিজেনের মাত্রা কমছে। ফলে সেখানকার প্রাণীদের জীবন এবার চরম বিপদের সামনে।
গবেষণা থেকে দেখা গিয়েছে জলের নিচে থাকা এই অক্সিজেন ধীরে ধীরে কমতে থাকছে। এতদিন পর্যন্ত যতটা অক্সিজেন তৈরি করা হত তার থেকে অনেক কম অক্সিজেন জলের নিচে তৈরি হচ্ছে। ফলে পৃথিবীর অক্সিজেন ভারসাম্য এরফলে বিরাট প্রভাবিত হবে।
কৃষিকাজে প্রচুর জলের ব্যবহার, জলের অপচয় করা, প্রচুর নদীতে বাঁধ তৈরি করা, বাড়তে থাকা গরম। এগুলি প্রধানত এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী। এরফলে আগামীদিনে জলের নিচের পরিবেশ একেবারে বদলে যাবে। মাটির নিচ থেকে ক্রমাগত পানীয় জল তুলে নেওয়ার ফলে সেখানে যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে তাকে মেটানো যাচ্ছে না। এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে জলের অক্সিজেনের উপর।
প্রতি বছর জলের নিচের পরিবেশ থেকে ১ বিলিয়ন অক্সিজেন তৈরি হয়। সেখানে যদি অক্সিজেন কমতে শুরু করে তাহলে এবার পৃথিবীর অক্সিজেন থেকে সেই ঘাটতি মেটানো হবে। সেটা প্রাণীকুলের পক্ষে হবে মারাত্বক।
