আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিশ্ব স্বাস্থ্যখাতে কমছে অনুদানের পরিমান। ফলে সেখান থেকে তৈরি হচ্ছে নতুন সমস্যা। এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করল হু। যেসব দেশগুলি এতদিন ধরে এই খাতে প্রচুর অর্থ দিয়েছে তারা হাত গুটিয়েছে। ফলে সেখান থেকে টান পড়েছে সবেতেই।
হু-য়ের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে চিন্তাপ্রকাশ করা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যেই হু থেকে তাদের অনুদান তুলে নিয়েছেন। ফলে যদি পরবর্তীকালে করোনার মতো মহামারি আসে তাহলে তাকে মোকাবিলা করতে গিয়ে হিমসিম খাবে হু-য়ের কর্তারা।
আমেরিক হু-য়ের সবথেকে বড় অনুদানকারী হিসেবে ছিল। তারা মোট অনুদানের ১৮ শতাংশ বিনিয়োগ করত। তবে এবার সেটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে চিন্তার পরিবেশ তৈরি হয়েছে হু-য়ের কপালে।
হু-য়ের ডিরেক্টর জেনারেল ট্রেডরস অ্যাডোনম গ্যাব্রিয়ের জানিয়েছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বর্তমানে একটি কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে চলেছে। ফলে তারা আগামীদিনে কঠিন রোগ নিয়ে চিন্তিত। মার্কিন বিনিয়োগ তুলে নেওয়ার পর হু তাদের বাজেট অনেকটা কমিয়েছে। ফলে এতদিন ধরে যেভাবে হু কাজ করত সেটা আর হবে না।
চলতি বছরে হু-য়ের অনুদানে ঘাটতি রয়েছে ৬০০ মিলিয়ন ডলার। ফলে তারা ২০২৬-২৭ সালের বাজেটে ইতিমধ্যে ২১ শতাংশ কাজ কমিয়ে দিয়েছে। যেখানে ৫.৩ বিলিয়ন অর্থ খরচ হত সেখানে তারা ৪.২ বিনিয়ন অর্থ খরচ করছে। তাদের কর্মীসংখ্যাতেও ছাঁটাই দেখা গিয়েছে। ফলে সেখান থেকেও তারা বাজেটের দিকে জোর দিয়েছে।
হু-য়ের ডিরেক্টর আরও বলেন, এটা খুবই যন্ত্রণার। এরফলে বিশ্ববাসীর স্বাস্থ্য খাতে বিরাট প্রভাব পড়বে। তখন সবকিছু তাদের হাতের বাইরে চলে যাবে।
ইতিমধ্যে জেনিভা, সুইৎজারল্যান্ডে নিজেদের কর্মীসংখ্যা কমিয়েছে হু। আগামী ২ বছরের মধ্যে হু তাদের বহু কাজই বন্ধ করে দেবে। ফলে তাদের কাজের পরিধি অনেকটাই কমবে।
হু প্রধানত অনুদানের ওপরেই এতদিন কাজ করেছে। সেখানে বিশ্বের প্রতিটি দেশ এই অনুদানের টাকা দেয়। তবে মার্কিন দেশ হাত তোলার ফলে তাদের বাজেটে বিরাট প্রভাব ফেলেছে।
