আজকাল ওয়েবডেস্ক: পেশায় চিকিৎসক। চিকিৎসকদের চিকিৎসায় সুস্থ হন মানুষ। অথচ যে ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সে, চিকিৎসকের স্বীকারোক্তিতে রীতিমতো তোলপাড়। শুনলে হাড়হিম হবে।
ফরাসি শল্যচিকিৎসক। কয়েকদশক ধরে দিনের পর দিন চালিয়েছে নারকীয় কার্যকলাপ। একের পর এক শিশু-নাবালিকাকে ধর্ষণ, যৌন নিগ্রহ। বাদ পড়েনি নিজের নিকট আত্মীয়রাও। ওই ব্যক্তি গণধর্ষণের বিচার প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে ইতিমধ্যেই। বছর ৭৪-এর এই ব্যক্তি স্বীকার করেছে, ‘দিনের পর দিন শিশুদের উপর অকথ্য অত্যাচার করেছি।‘
ওই চিকিৎসক প্রায় ৩০০ রোগীকে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগে বিচারাধীন। দিনের পর দিন এই কাজ চালিয়ে গিয়েছে। সোমবার বিচারপ্রক্রিয়ার মাঝে আদালতে সে স্বীকার করে নিয়েছেন তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সত্যি।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ওই চিকিৎসক আদালতে জানিয়েছে, সে ‘জঘন্য কার্যাবলীর’ জন্য অনুতপ্ত। বলেছে, ‘সেসব দিনে আর ফিরে যাওয়া যাবে না। জঘন্য কাজের জন্য যে বিরাট ক্ষতি হয়েছে শিশুদের, তা পূরণ হবে না কোনও দিন।‘ নিজের কাজের সমস্ত দায় নিতেও রাজি হয়েছে চিকিৎসক।
এই মামলার সূচনা ২০১৭সালে। চিকিৎসকের এক আত্মীয় তার বিরুদ্ধেই অভিযোগ আনে যৌন নিপীড়নের। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, অভিযুক্ত চিকিৎসক হল জোয়েল লে স্কাউরনেক। পুলিশ সূত্রে খবর, মূলত শিশু, নাবালিকা রোগীদের ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থা করত সে। তার বিরুদ্ধে ১১১টি ধর্ষণ এবং ১৮৯টি যৌন হেনস্থার অভিযোগ রয়েছে। ৩০০ নির্যাতিতার মধ্যে ২৫৬ জনের বয়স ছিল ১৫ বছরের নীচে। গড়ে তাদের বয়স ছিল ১১ বছর। নির্যাতিতাদের মধ্যে একবছরের শিশুও রয়েছে। ১৯৮৯ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থার ঘটনাগুলো সে ঘটিয়েছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, নির্যাতিতাদের মধ্যে তার দুই খুদে আত্মীয়ও রয়েছে। এই ঘটনায় ২০২০ সালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ১৫ বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা কর হয়েছিল সে সময়। ২০১৭ সালে এক প্রতিবেশী নাবালিকা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলে। অনেকেই জানিয়েছেন, নিপীড়নের সময়ের কোনও স্মৃতি নেই তাঁদের, তাঁরা তখন অচেতন অবস্থায় ছিলেন। লালসার শিকার হয়েছিল ছেলেরাও।
চিকিৎসকের ঘর থেকে তিন লক্ষ অশ্লীল ছবি, প্রচুর সেক্স টয়, শিশুদের সঙ্গে সঙ্গমের ছবি উদ্ধার করে পুলিশ। একটি ডায়েরিতে নির্যাতিতাদের নাম লিখে রেখেছিল সে। সেখানেই উল্লেখ রয়েছে, একাধিক নাবালিকাকে অপারেশন টেবিলেও যৌন হেনস্থা করেছিল সে। বারবার যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠার পরেও ভিন্ন শহরে গিয়ে হাসপাতালে কাজে যোগ দিত সে। তার কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন প্রাক্তন স্ত্রীও।
