আজকাল ওয়েবডেস্ক: পরিবার-সহ রাশিয়ায় পৌঁছেছেন সিরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ। মানবিকতার খাতিরে ঠাঁই দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এমনটাই জানিয়েছে রাশিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যম।
সিরিয়ার বিদ্রোহী দুই সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘হায়াত তাহরির আল-শাম’ (এইচটিএস) এবং তাদের সহযোগী ‘জইশ আল-ইজ্জা’র যৌথবাহিনী আগ্রাসনে ক্রমশ পিছু হটছিল আসাদের সরকার। গত কয়েক দিন ধরেই সিরিয়ার একের পর এক এলাকা দখল করতে শুরু করেছিল বিদ্রোহীরা। রবিবার সকালে রাজধানী দামাস্কাস দখল নেয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী। দখল নিয়েই সিরিয়াকে 'স্বাধীন' ঘোষণা করে দেন বিদ্রোহীরা। কোনও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনি সিরিয়ার সেনা।
বিদ্রোহীদের দখলে দামাস্কাস আসতেই ‘বেপাত্তা’ হয়ে যান আসাদ। পালিয়ে যান সেখান থেকে। তাঁকে বিমানে উঠতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তিনি কোথায় গিয়েছেন, তা স্পষ্ট হচ্ছিল না। দামাস্কাস থেকে আসাদের গন্তব্য সম্বন্ধে নিশ্চিত করে কেউই কিছু বলতে পারছিলেন না। এর মধ্যে গুজব রটে, আসাদের বিমান আকাশে উড়তে দেখা গেলেও মাঝ আকাশে তা নাকি উধাও হয়ে গিয়েছে। আর দেখা যায়নি সেই বিমান। সোমবার সকালে জল্পনার অবসান। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম জানিয়ে দিল, ‘বন্ধু’র কাছে আশ্রয় পেয়েছেন আসাদ। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মানবিক কারণে তাঁকে নিজের দেশে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সপরিবার মস্কোয় পৌঁছেও গিয়েছেন আসাদ।
সিরিয়ায় গত ১৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে গৃহযুদ্ধ চলছে। ২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট আসাদের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে মদত দিয়েছিল আমেরিকা। পরবর্তী সময়ে আইএসের বাড়বাড়ন্ত রুখতে নেটো বাহিনী হামলা চালিয়েছিল। সিরিয়ার দখল নিতেই বিদ্রোহীরা আসাদের পিতা হাফেজ আল আসাদের মূর্তি ভেঙে দেন। তছনছ করা হয় আসাদের প্রাসাদের মূল্যবান সামগ্রীও। গত ৫০ বছর ধরে সিরিয়ার জনগণকে লঘু পাপে গুরুদণ্ড পেতে হয়েছে। এর মধ্যে কুখ্যাত ছিল সেডনায়া জেল। সেখান থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে সকল বন্দীদের।
