আজকাল ওয়েবডেস্ক: সদ্যোজাত শিশুকে হাসপাতালে দেখতে এলেন বাবা। মুহূর্তে মিলিয়ে গেল তাঁর মুখের হাসি। বললেন, ''সন্তান আমার নয়, অন্য কারও।''  

 

 

কেন? স্বামীর এহেন কথা শুনে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার অবস্থা স্ত্রীরও। সদ্য মাতৃত্বের সুখ, আনন্দের অনুভূতি মুহূর্তেই উধাও তাঁর।

 

 

নিজের সন্তানকে নিয়ে বাবার মনে এমন প্রশ্ন জাগল কেন? কারণ হিসেবে তিনি জানান, সন্তানের গায়ের রং কালো। তাই আগে করতে হবে বাচ্চার ডিএনএ পরীক্ষা। 

 

 

ঘটনাটি চিনের। ওই মহিলা শেষপর্যন্ত ডিভোর্সের আবেদন করে বসেন। তাঁর বক্তব্য, তিনি কখনওই আফ্রিকায় যাননি। কোনওভাবেই তাঁর সন্তানের গায়ের রং কালো হতে পারে না। 

 

 

হাসপাতালের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে স্ত্রী জানান, তাঁর স্বামীর হাতে সদ্যোজাত সন্তানকে তুলে দেওয়া হলে, তিনি কোলে নিতেই চাইছিলেন না। 

 

 

নিজের সন্তানকে যদি কোলে নিতে না চায় কোনও বাবা, তাহলে তার অভিঘাত কী হতে পারে? স্ত্রীর মনের অবস্থা সহজেই অনুমেয়। সন্তানের গায়ের রং নিয়ে স্বামীর মনে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, প্রশ্ন তৈরি হওয়ায় অবশষে দাম্পত্যেই ফাটল ধরেছে। 

 

 

জানা গিয়েছে, ওই মহিলা সদ্যোজাতর ডিএনএ পরীক্ষায় সম্মতও হয়েছিলেন। কিন্তু স্বামীর অবিশ্বাসে তিনি মানসিক ভাবে আহন হন। সেই মহিলা বহুবার বুঝিয়েছেন স্বামীকে। কিন্তু তা অরণ্যে রোদন ছাড়া আর কিছু নয়। 

 

 

তাঁদের পরিবারের কারওরই গায়ের রং কালো নয়, কিন্তু সদ্যোজাতর গাত্র বর্ণ কালো হওয়ায়, স্বামী মানতেই চাইছেন না এই সন্তান তাঁর। অগত্যা আর কী! বিবাহ বিচ্ছেদের পথেই এগোচ্ছেন স্ত্রী। 

 

 

চিনের এই ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব চর্চা হয়। এই আধুনিক যুগেও গাত্র বর্ণ কালো হওয়ায় কেউ যে পিতৃত্ব অস্বীকার করতে পারেন, তা জেনে বিস্মিত অনেকেই। 

 

 

অনেকেই আবার বলছেন, নবজাতকের গায়ের রং এমন হতেই পারে। জন্মের সময় ত্বক পাতলা থাকে, রক্ত সঞ্চালন কম হওয়ার জন্য গায়ের রং কালো হতেই পারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গায়ের বর্ণ বদলাতে থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, নবজাতকের গায়ের রং গাঢ় লাল থেকে বেগুনি পর্যন্ত হতেই পারে।