আজকাল ওয়েবডেস্ক: জন্মহার ক্রমশ হ্রাস পাওয়ায় উদ্বিগ্ন জাপান সরকার। ক্রমহ্রাসমান জন্মহারের ফলে হ্রাস পাচ্ছে সে দেশের জনসংখ্যাও। জাপান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ করেছে দেশের জনগণকে উৎসাহ দিতে। কাজ হচ্ছে না কিছুতেই। ২০২৪ সালের হিসেব অনুসারে  ১২ কোটি ৩৯ লক্ষ জনসংখ্যার দেশটিতে গত বছর মাত্র ৭ লাখ ২৭ হাজার ২৭৭ শিশুর জন্ম হয়েছে গত ১ বছরে। এই অবস্থায় কর্মীরা যাতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারেন এবং পরিবার বৃদ্ধির ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করতে পারেন সেই উদ্দেশে নতুন পদক্ষেপ নিল টোকিয়ো প্রশাসন। সরকারি কর্মীদের সপ্তাহে মাত্র চার দিন অফিসে আসতে হবে জানিয়ে দিল প্রশাসন। বাকি তিন দিন ছুটি। ২০২৫ সালের এপ্রিল মাস থেকে চালু হবে এই নিয়ম।

টোকিয়োর গভর্নর ইউরিকো কোইকে এই নতুন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে বলেন, পরিবর্তনশীল চাহিদার কথা মাথায় রেখে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। তিনি জানা, কর্মক্ষেত্রে  এবং ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারও মনে করা উচিত নয় যে তাঁকে কর্মজীবন, সন্তানের যত্ন বা পরিবারের মধ্যে যে কোনও একটি বেছে নিতে হবে। তাঁর বিশ্বাস, এই নীতি বিশেষ করে তরুণ পরিবারগুলিকে সাহায্য করবে, যাতে তাঁরা কর্মক্ষেত্রে  এবং ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারেন।

টোকিও প্রশাসন সরকারি কর্মচারীদের সপ্তাহে তিন দিন ছুটি নেওয়ার বিকল্প দিয়েছে। এছাড়াও ছোট বাচ্চাদের যত্ন নেওয়া পিতামাতারা তাঁদের কাজের সময় কমানোর অনুমতি পাবেন। বিনিময়ে তাঁদের বেতন কমানো হতে পারে। 

জাপানের প্রজনন হার বর্তমানে তলানিতে এসে ঠেকেছে। রিপোর্ট বলছে, গত বছরের হিসেবে এই প্রজনন হার জন্মপিছু ১.২ শিশুতে নেমে এসেছে। যা যথেষ্ট আশঙ্কার। দেশের জনসংখ্যা বাড়াতে চাইলে এই হার অন্তত ২.১ এ আনতে হবে। এর জন্য সে দেশের যুবক-যুবতীদের বেশি করে সময় কাটানো প্রয়োজন। কিন্তু কাজের চাপে বা ওভারটাইমের চক্করে সেটাই হয়ে ওঠে না। গত বছর সে দেশে মাত্র সাত লক্ষ সাতাশ হাজার দুশো সাতাত্তর জন শিশুর জন্ম হয়েছিল। মহিলারাও সে দেশে যথেষ্ট ক্যারিয়ার সচেতন। তাই অনেকক্ষেত্রেই তাঁরা পরিবার আর ক্যারিয়ারের মধ্যে বেছে নেন ক্যারিয়ারকে। যাঁর প্রভাব পড়ছে জনসংখ্যায়।