আজকাল ওয়েবডেস্ক: ৭ জানুয়ারি, মঙ্গলবার। সকাল ছ’টা। তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল তিব্বত। মাত্রা ছিল ৭.১। কম্পন অনুভূত হয় ভারতেও। প্রবল ক্ষয়ক্ষতি হয় তিব্বতে, প্রাণ যায় প্রায় শত মানুষের। পরপর ভেঙে পড়ে একের পর এক বাড়ি-ঘর। একসপ্তাহের মাথায় ফের ভয়াবহ ভূমিকম্প। সোমবার, ১৩ জানুয়ারি তীব্র কম্পনে কেঁপে উঠল জাপান।

সোমবার দক্ষিণপশ্চিম জাপানের কিয়ুসু এলাকায় তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়। ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে জানিয়েছে, জাপান সময় অনুযায়ী রাত ন'টা ১৫ নাগাদ এবং ভারতীয় সময় অনুযায়ী বিকেল পৌণে ছ'টা নাগাদ জাপানে যে কম্পন অনুভূত হয়, তার মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৬.৯। ভূ পৃষ্ট থেকে প্রায় ৩৭কিলোমিটার গভীরে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি বলে জানা গিয়েছে প্রাথমিকভাবে।

যদিও ভূমিকম্পের কারণে হওয়া ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি এখনও, তবে সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ভূমিকম্পের পরেই জাপান মেটেরোলজিক্যাল এজেন্সি সুনামি সতর্কতা জারি করেছে মিয়াজাকি এলাকায়। এই এলাকাই ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল এবং সুনামি প্রবণ এলাকা। ভূমিকম্পের কারণে সেখানে সমুদ্রের জল ভূ-পৃষ্ঠ থেকে কয়েকফুট উঁচুতে উঠেছিল বলেও জানা গিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে। এর ফলে প্রায় এক মিটার পর্যন্ত সুমানির ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে, আশঙ্কা তেমনটাই। আর এই সতর্কবার্তার পরেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে দেশ জুড়ে। মূলত দক্ষিণ-পশ্চিম জাপানে সতর্কতা জারি হলেও, সুনামি আতঙ্ক ছড়িয়েছে দেশজুড়ে।