আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাশিয়ার পাঁচটি বিমান ঘাঁটিতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলার পরদিনই তুরস্কের রাজধানী ইস্তানবুলের সিরাগান প্রাসাদে দ্বিতীয় দফার শান্তি আলোচনায় বসেছিল যুযুধান দুই দেশ। নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুই ঘণ্টা পরে বৈঠক শুরু হলেও তা চলে এক ঘন্টার বেশি সময় ধরে। গোটা বিশ্বের নজর ঠিল এই বৈঠকে। শান্তি বৈঠকে আদৌ কী কোনও সমাদানসূত্রের খোঁজ মিলল?
ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র হিওরহি তিখভি ইউক্রেনীয় দূতাবাসের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করা এক বার্তা অনুসারে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রুস্তেম উমেরভ ইউক্রেনীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। তাঁর দাবি, এ দিনের আলোচনার সময়ে শিশুদের একটি লম্বা তালিকা রাশিয়ার হাতে তুলে দিয়েছে ইউক্রেনের প্রতিনিধিদল। ইউক্রেনের দাবি, শয়ে শয়ে শিশুকে জোর করে ইউক্রেন থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে রুশ বাহিনী।
তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান এই শান্তি আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন। তুরস্কের গোয়েন্দা সংস্থার কর্তারাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি সোমবার ছিলেন লিথুয়ানিয়ায়। সেখান থেকে তিনি বলেন, "তুর্কির মাধ্যমে উভয়পক্ষের নথি বিনিময় চলছে এবং আমরা যুদ্ধবন্দীদের নতুন করে মুক্তির প্রস্তুতি নিচ্ছি।"
উল্টোদিকে মস্কোর দাবি, যুদ্ধের হাত থেকে ওই শিশুদের রক্ষা করার জন্যই তাঁদের ইউক্রেন থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এছাড়াও রাশিয়া-ইউক্রেনের এ দিনের শান্তি আলোচনায় যুদ্ধে নিহত ৬,০০০ সৈন্যের মৃতদেহ বিনিময় নিয়েও এক ঘন্টারও বেশি সময় ধরে আলোচনা হয়েছে।
তবে, এদিনের বৈঠকেও যুদ্ধ থামার বিষয়ে উভয়পক্ষই কোনও আলোচনা করেনি। ফলে সমাধানসূত্র বা যুদ্ধ মেটার বিষয়টি এখনও যেন 'সোনার পাথর বাটি'।
