আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিশ্বজুড়ে ৬০০-র বেশি মানুষ—এর মধ্যে ৩০০-এর বেশি আমেরিকায়—মৃত্যুর পর নিজেদের দেহ হিমায়িত করে রেখেছেন, একমাত্র আশায়: ভবিষ্যতের কোনো একদিন বিজ্ঞানের শক্তিতে তারা আবার বেঁচে উঠবেন!

এই ভয়ংকর ঠান্ডার মধ্যে রাখা হয় তাদের দেহ—প্রায় -১৯৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, যেখানে সমস্ত জৈবিক ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। এই প্রক্রিয়ার নাম ক্রায়োনিকস (Cryonics), এবং এটি পরিচালনা করে Alcor Life Extension Foundation ও Cryonics Institute-এর মতো কিছু বিশেষ প্রতিষ্ঠান।

দেহের রক্ত বের করে তার জায়গায় ভরা হয় বিশেষ রাসায়নিক পদার্থ, যাতে কোষের ভেতর বরফ জমে গিয়ে ক্ষতি না হয়। এরপর সেই দেহ রাখা হয় তরল নাইট্রোজেনে। মৃত্যুর পরও এই ‘শীতঘরে’ রাখা মানুষদের বিশ্বাস—একদিন বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে আবার জেগে উঠবেন তারা, মৃত্যুকে হারিয়ে!

বিশ্বের বহু ধনী ব্যক্তি ও সেলিব্রিটিরা ইতিমধ্যেই এই প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছেন। যদিও এখনো পর্যন্ত কারো পুনরুত্থান সম্ভব হয়নি, তবে অনেক বিজ্ঞানী মনে করছেন, এটি ভবিষ্যতের জীবন রক্ষার কৌশল হতে পারে।

তবু প্রশ্ন রয়ে যায়—এ কি বিজ্ঞানের বিপ্লব, না মৃত্যুকে অস্বীকার করার শেষ চেষ্টা? হিমঘরে শুয়ে থাকা ‘মৃত-জীবিত’ মানুষরা আপাতত শুধু অপেক্ষা করছেন—এক আশ্চর্যকল্প বিজ্ঞানের ভোরের।