আজকাল ওয়েবডেস্ক: বহুদিন থেকে গবেষকরা নানা ধরণের কাজ করছেন। তাদের এই কাজের মধ্যে অন্যতম ছিল কীভাবে ব্রেস্ট ক্যান্সারকে রোখা যাবে। যদিও এবিষয়ে নানা ধরণের চিকিৎসা এখন শুরু হয়েছে। তবে সেখানে থেমে থাকতে চায় না গবেষকরা।
গবেষকরা মনে করছেন মহিলাদের মধ্যে সবথেকে বেশি ক্ষতিকর যে দিকটি থাকে সেটি হল ব্রেস্ট ক্যান্সার। এটি এমন একটি ক্যান্সার যেটি বর্তমানে বেশিরভাগ মেয়ের জীবনে নিয়ে আসে বিরাট আক্ষেপ। তবে এখান থেকেই ব্রাজিলের গবেষকদের হাতে বিরাট একটি আবিষ্কার এসেছে।
তারা মনে করছে অ্যামাজনের জঙ্গলে যে বিষাক্ত কাঁকড়াবিছে রয়েছে যার এক ছোবলে যেকোনও সুস্থ ব্যক্তি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে পারে তার সেই বিষেই রয়েছে ব্রেস্ট ক্যান্সারের দাওয়াই।
ক্যান্সার মানেই হল একটি বিষের থলি। সেটি দেহের যেকোনও স্থানেই হতে পারে। তবে ব্রাজিলের গবেষকরা মনে করছে এই ধরণের কাঁকড়াবিছের হুলে যে মারাত্বক বিষ রয়েছে তা ব্রেস্ট ক্যান্সারের মারণ বিষকে গলিয়ে দিতে পারে। সেটিকে একেবারে উপড়ে ফেলতে পারে।
যদিও গোটা বিষয়টি এখনও পর্যন্ত গবেষণার টেবিলেই রয়েছে। তবে এবিষয়ে দ্রুত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। যেভাবে কাঁকড়াবিছের বিষ তাকে আত্মরক্ষা করতে সাহায্য করে ঠিক তেমনভাবেই সেখান থেকে তৈরি করা ওষুধ ক্যান্সারকে শেষ করতে পারে। বিশেষত ব্রেস্ট ক্যান্সারের ক্ষেত্রে সেটি একটি উল্লেখ্য পদক্ষেপ হতে পারে।
অ্যামাজনের জঙ্গলে থাকা এই কাঁকড়াবিছের বিষ এতটাই মারাত্বক যে সে নিজের থেকে যেকোনও বড় প্রাণীকে ঘায়েল করে দিতে পারে। সেদিক থেকে দেখতে হলে এই বিষয়ে একটি ওষুধ হিসেবে কাজে লাগাতে চাইছেন গবেষকরা। তারা মনে করছেন যদি এই বিষয়ে কাজে লাগানো যায় তাহলে সেখান থেকে ব্রেস্ট ক্যান্সার নিয়ে আগামীদিনে আর কোনও ভয় থাকবে না। তবে এটি করতে গিয়ে প্রকৃতি থেকে এই কাঁকড়াবিছেদের যাতে মেরে না ফেলা হয় সেই দিকটিও নজরে রাখতে হবে। নাহলে প্রকৃতির ভারসাম্য বিঘ্নিত হবে। বিশেষ করে অ্যামাজনের মতো রেইন ফরেস্টে।
