আজকাল ওয়েবডেস্ক: বন্যায় বিধ্বস্ত পাকিস্তান। দেশের বিস্তীর্ণ অংশ জলের নীচে। অসংখ্য মানুষ ঘর-বাড়ি হারিয়ে চরম দুর্ভোগে। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খোয়াজা আসিফ পাকিস্তানের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এক অদ্ভুত সমাধান বাতলেছেন!
মন্ত্রীর মতে, দেশের নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারী পাকিস্তানিরা বন্যার জল ফেলে না দিয়ে তা সংরক্ষণ করুন। বন্যাকে তিনি 'আশীর্বাদ' হিসেবে দেখার জন্যও দুর্ভোগরত পাকিস্তানিদের কাছে অনুরোধ করেছেন। মন্ত্রী খোয়াজা আসিফের এই বক্তব্য সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে তুমুল চর্চা।
বন্যা একটি আশীর্বাদ, মানুষের জল সঞ্চয় করা উচিত: আসিফ
খোয়াজা আসিফ পাকিস্তানের দুনিয়া নিউজ-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, "যারা বন্যার মতো পরিস্থিতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন তাদের উচিত বন্যার জল সংরক্ষণ করা। মানুষের উচিত এই জল তাদের বাড়িতে বড় পাত্রে সংরক্ষণ করা। আমাদের এই জলকে আশীর্বাদ হিসেবে দেখা উচিত, তাই তা সংরক্ষণ করা উচিত।"
বন্যা ও বৃষ্টিপাতের কারণে সমস্যাগ্রস্ত মানুষ রাস্তায় নেমে সরকার ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন। তাঁরা রাস্তা অবরোধ করছেন এবং সরকার বিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন। এ বিষয়ে মন্ত্রী খোয়াজা আসিফ বলেছেন, "জনগণের প্রথমে জল সংরক্ষণের দিকে মনোনিবেশ করা উচিত। যদিও, জল সংরক্ষণের জন্য বড় বাঁধ প্রয়োজন, কিন্তু এখনই তা সম্ভব নয়।"
বন্যা বন্ধে সরকারের পদক্ষেপ সোনার পাথরবাটি:
কেন বন্যা রুখতে সরকারের কোনও ব্যবস্থা নেই? মন্ত্রীর মতে, মানুষ অযথা সরকারকে দোষারোপ করছে। ক্ষমতাহীন স্থানীয় সরকার বন্যার জন্য দায়ী। মানুষ নিজেদের স্বার্থে নদী-পথ দখল করে নিচ্ছে, ফলে জলের গতিপথ বদলে যাচ্ছে। ফলে বৃষ্টির জলে বন্যা হচ্ছে।
রবিবার এক সংবাদিক বৈঠকে পাঞ্জাবের জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেব বলেন, "এটা পাঞ্জাবের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বন্যা।"
⚡ Allah sent flood to Pakistan save Pakistanis:
— OSINT Updates (@OsintUpdates)
Pakistan’s Defence Minister Khwaja Asif suggested that the floods should be seen as a ‘Blessing,’ urging civilians to store the floodwater in tubs and buckets at home instead of protesting. pic.twitter.com/9bngzs8FxDTweet by @OsintUpdates
৮৫৪ জনের মৃত্যু
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ) প্রতিবেদন অনুসারে, ২৬ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত পাকিস্তানে মৃতের সংখ্যা ৮৫৪ জন। ১১০০ জনেরও বেশি মানুষ জখম। পাঞ্জাব প্রদেশের প্রায় ২০ লক্ষ মানুষ সরাসরি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পাঞ্জাবের তথ্যমন্ত্রী আজমা বুখারি বলেছেন যে, পাঞ্জাব প্রথমবারের মতো এমন বন্যা প্রত্যক্ষ করেছে। এবার, ঝিলাম, চেনাব এবং রাভি নদী তিনটিই উত্তাল।
পাকিস্তানি আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, পাঞ্জাব প্রদেশে ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষকে তাদের বাড়িঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন- চীন সফরে কিম, গেলেন বুলেটপ্রুফ ট্রেনে চড়ে! জানুন এর বৈশিষ্ট্য
