আজকাল ওয়েবডেস্ক: অণ্ডকোষ দিয়ে বাঁচাল বন্ধু, ফিরেই তার স্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গম! ওই বন্ধুর স্ত্রীয়ের নাম উম্মে সাহেদীনা ওরফে টুনটুনি। এই কাণ্ডে বেহাল কুমিল্লার বিশ্বস্ত বন্ধু আলাউদ্দিন! ভালোবাসা অন্ধ করে, আর বিশ্বাসঘাতকতা চোখ খুলে দেয়। এমনই এক কাণ্ড ঘটেছে নারায়ণগঞ্জে। আলাউদ্দিন ও জহির—শৈশবের দুই 'inseparable' বন্ধু। একসময় জহিরের অণ্ডকোষে জটিল টিউমার ধরা পড়ে। চিকিৎসকেরা বলেন, দ্রুত অস্ত্রোপচার না করলে মৃত্যু অনিবার্য। পাশে দাঁড়ান বন্ধু রতন। নিজের একটি অণ্ডকোষ দান করে বাঁচান জহিরের প্রাণ!

কিন্তু অণ্ডকোষে প্রাণ ফিরে পেয়ে বদলে যান জহির। সুস্থ হতেই আলাউদ্দিনের স্ত্রী টুনটুনির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান! একসময় আলাউদ্দিন স্ত্রীকে সন্দেহ করে ফেলে, আর হাতেনাতে ধরেও ফেলে জুটিকে সঙ্গমরত অবস্থায়। বন্ধু আলাউদ্দিন বলেন, “যার জন্য নিজের পুরুষত্বের অর্ধেক দান করলাম, সে-ই আমার ঘর ভাঙলো! এটা শুধু বিশ্বাসঘাতকতা নয়, এ এক নিষ্ঠুর কৌতুক!”

এখন আলাউদ্দিন মামলা করতে চায় জহির ও টুনটুনির বিরুদ্ধে। স্থানীয়দের ভাষায়—এ ঘটনা যেন সিনেমাকেও হার মানায়! টুনটুনির প্রতিবেশীরা বলেন, “বউ আপা শুরু থেকেই একটু বেশি স্মার্ট ছিল, কিন্তু এমনটা করবে ভাবিনি!” আইনজীবীরা বলছেন, একে শুধুই পরকীয়া বলে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না—এখানে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংযোজন আইনের অপব্যবহারও হয়েছে।

আলাউদ্দিনের আকুতি—“ভালোবাসা বা বন্ধুত্বে চোখ বন্ধ করলে যেন ভবিষ্যতে কেউ টুনটুনির মত মানুষের ফাঁদে না পড়ে!”