আজকাল ওয়েবডেস্ক: ‘বাংলাদেশের সবাই মিথ্যে কথা বলছেন। সেনা প্রধান বললেন হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। রাষ্ট্রপতি বললেন হাসিনা পদত্যগ করেছেন। ইউনূস বললেন হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু কেউই তাঁর পদতাগপত্র দেখেননি। পদত্যাগপত্র যেন ভগবান। সকলেই বলছেন সেটি আছে। কিন্তু কেউ প্রমাণ করতে পারছেন না তার অস্ত্বিত্ব।‘ হাসিনা পদত্যাগ ইস্যুতে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে, তার প্রেক্ষিতে উপরের মন্তব্যটি করেছেন তসলিমা নাসরিন।
৫ অগাস্ট, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশে, বিক্ষোভের মুখে পড়ে দেশ ছেড়েছেন মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা। হাসিনা তখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে। তাঁর দেশত্যাগের পরেই, বাংলাদেশের সেনা প্রধান জানান সেকথা। রাষ্ট্রপতিও হাসিনার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফার কথা জানিয়েছিলেন। মাঝের সময়ে বাংলাদেশ চালাচ্ছে সে দেশের অন্তবর্তীকালীন সরকার।
তার মাঝেই জল্পনা বেড়েছে আচমকা রাষ্ট্রপতির মন্তব্যে। সম্প্রতি সে দেশের এক সংবাদ মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি মহম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেন, হাসিনার পদত্যাগের কোনও তথ্য নেই তাঁর কাছে। সে দেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ‘তিনি শুনেছেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তাঁর কাছে কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই।‘
তারপর থেকেই শুরু হয় জোর চর্চা। অন্তবর্তীকালীন সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি যে বলেছেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাননি, এটা মিথ্যাচার এবং এটা হচ্ছে তাঁর শপথ লঙ্ঘনের শামিল।’ মনে করান ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতির তিন বাহিনীর প্রধানকে সঙ্গে নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার বিষয়ও। শুধু আসিফ নয়, অন্তবর্তীকালীন সরকারের অনেকেই রাষ্ট্রপতির এই মন্তব্যে ক্ষুব্ধ। পরিস্থিতি বিচারে রাষ্ট্রপতির উইং থেকে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে মীমাংসিত বিষয়ে নতুন করে কোন বিতর্ক সৃষ্টি না হয়। বলা হয়েছে, ‘প্রাক্তনপ্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ইস্যুতে মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন মিডিয়ায় যে প্রচারণা চালানো হয়েছে তা জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে।‘
রাষ্ট্রপতির মন্তব্যের পর নতুন করে বিতর্ক-বিক্ষোভ তৈরি হয়েছে।তিনি এও বলেছেন, হয়ত পরিস্থিতিতে হাসিনা পদত্যাগ পত্র দেওয়ার সময় পাননি। রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ চেয়ে সে দেশের রাষ্ট্রপতির বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন সে দেশের মানুষ। তার মাঝেই ঘটনা প্রসঙ্গে মন্তব্য করেছেন তসলিমা নাসরিন।
