আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে একটি বৈজ্ঞানিক প্রতিবেদন। কিংবদন্তি বুলগেরিয়ান রহস্যদ্রষ্টা বাবা ভাঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণীর সঙ্গে মিলে যাচ্ছে এক চাঞ্চল্যকর মহাজাগতিক পর্যবেক্ষণ। বাবা ভাঙ্গা বলেছিলেন, ২০২৫ সালে মানবজাতির সঙ্গে প্রথমবারের মতো ভিনগ্রহীদের যোগাযোগ হবে। কিন্তু সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক তথ্য বলছে, সেই যোগাযোগ হয়তো তার চেয়েও আগেই ঘটতে চলেছে — এবং তা হতে পারে ভয়ংকর রকমের শত্রুতামূলক! ২০২৫ সালের নভেম্বরের মধ্যেই এক অজানা মহাজাগতিক বস্তু পৃথিবীর অদূরে পৌঁছাতে চলেছে, যার নাম ৩আই/আটলাস (3I/ATLAS)। গত ১ জুলাই প্রথম এই বস্তুটি শনাক্ত করা হয় এবং পরদিনই বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত হন যে এটি আমাদের সৌরজগতের বাইরের উৎস থেকে এসেছে। এটি ঘণ্টায় প্রায় ২,১০,০০০ কিমি গতিতে সূর্যের দিকে ধেয়ে আসছে এবং এর ব্যাস প্রায় ১৫ মাইল — মানে গোটা ম্যানহাটনের থেকেও বড়।
প্রথমে এটিকে একটি ধূমকেতু বলে মনে করা হলেও, ‘ইনিশিয়েটিভ ফর ইন্টারস্টেলার স্টাডিজ’-এর বিজ্ঞানীরা — অ্যাভি লোয়েব, অ্যাডাম হিবার্ড ও অ্যাডাম ক্রল — দাবি করেছেন, এটি আদৌ প্রাকৃতিক বস্তু নাও হতে পারে। বরং এটি হতে পারে এক টুকরো ভিনগ্রহী গোয়েন্দা প্রযুক্তি — একটি কসমিক “স্পাই প্রোব”। অ্যাভি লোয়েব তার ব্লগে উল্লেখ করেছেন, এই বস্তুটির গতিপথ এমনভাবে সাজানো যে এটি বৃহস্পতি, মঙ্গল এবং শুক্র গ্রহের খুব কাছ দিয়ে যাবে — ঠিক যেন সেগুলিতে গোপনে নজরদারি সরঞ্জাম বসানোর পরিকল্পনা নিয়েই পাঠানো হয়েছে। সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হল, নভেম্বরের শেষ দিকে সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি পৌঁছনোর সময় বস্তুটি পৃথিবী থেকে অদৃশ্য হয়ে যাবে। লোয়েব আশঙ্কা করছেন, এটাই হয়তো সেই সময় যখন ভিনগ্রহী প্রযুক্তি চুপিসারে পৃথিবীর দিকে পাঠানো হবে।
এই বস্তুটি যদি সত্যিই প্রযুক্তিগত হয়, তবে তা "ডার্ক ফরেস্ট থিয়োরি"-কে সমর্থন করতে পারে — যার মতে, বুদ্ধিমান ভিনগ্রহী সভ্যতাগুলি নিজেদের গোপন রাখে যাতে সম্ভাব্য হুমকি থেকে বাঁচা যায়। এভাবে গোপনে নজরদারি চালানো এবং সম্ভাব্য প্রযুক্তি প্রেরণ এক অভূতপূর্ব নিরাপত্তাজনিত সংকেত হয়ে উঠছে। যদিও অনেক বিজ্ঞানী এই তত্ত্বকে “অতিরঞ্জিত” বলেই খারিজ করছেন এবং লোয়েব নিজেও বলেছেন যে এটি "সম্ভবত প্রাকৃতিক একটি ধূমকেতু", তবুও বিষয়টি একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। যদি এটি সত্যিই কোনও শত্রুতামূলক ভিনগ্রহী অভিযানের অংশ হয়, তবে মানবজাতির ভবিষ্যৎ এক ভয়াবহ মোড় নিতে পারে।
বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানী, গবেষক ও সাধারণ মানুষ এখন কেবল অপেক্ষা করছে—নভেম্বরে কী ঘটে তা দেখার জন্য। তবে একটাই প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে—পৃথিবী কি প্রস্তুত এক সম্ভাব্য ভিনগ্রহী আক্রমণের জন্য? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন সম্ভাবনার জন্য পৃথিবীর প্রতিটি দেশকে এখন থেকেই একযোগে প্রস্তুতি নিতে হবে। মহাকাশ নজরদারির পাশাপাশি চাই কূটনৈতিক ও প্রতিরক্ষা স্তরে সমন্বিত উদ্যোগ। নইলে একদিন হয়তো রাতের আকাশে দেখা যাবে এমন কিছু, যা আর কল্পবিজ্ঞান নয়—বরং বাস্তব দুঃস্বপ্ন!
