আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রত্নতাত্ত্বিকরা ইংল্যান্ডের পূর্বে চার লক্ষ বছর আগে মানুষের তৈরি একটি আগুনের সন্ধান পেয়েছেন। এই আবিষ্কার থেকে বোঝা যায় যে মনুষ্যসৃষ্ট আগুনের উৎপত্তি ৩,৫০,০০০ বছরেরও বেশি সময় আগে। যা পূর্বের অনুমানের চেয়ে অনেক আগে। এটা আগেই প্রত্নতাত্ত্বিকরা আবিষ্কার করেছেন যে আগুন তৈরির ক্ষমতা মানুষের জন্য সবকিছু বদলে দিয়েছে। কারণ, এটি প্রয়োজন অনুযায়ী উষ্ণতা প্রদান করে এবং আমাদের পূর্বপুরুষদের মাংস রান্না এবং খাওয়ার সুযোগ করে দেয়, যার ফলে মানুষের মস্তিষ্কের বৃদ্ধি ঘটে।
এর অর্থ হল আমরা আর বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রামরত প্রাণীদের দল নই। এটি আমাদের চিন্তাভাবনা এবং উদ্ভাবনের সময় দিয়েছে এবং আজকের উন্নত প্রজাতিতে পরিণত হয়েছে। প্রত্নতাত্ত্বিকদের দলটি প্রস্তর যুগের প্রাচীনতম লাইটারের সঙ্গে পোড়া মাটির আবিষ্কারের কথা জানিয়েছে। লাইটারটি পাইরাইট বা বোকার সোনার সঙ্গে আঘাতের ফলে আগুনের স্ফুলিঙ্গ তৈরি করা একটি চকমকি পাথর।
বিবিসির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বার্নহ্যাম ফরেস্টের মাটির নীচে লুকিয়ে আছে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক রত্ন। যা পৃথিবীর মাত্র কয়েক মিটার নীচে সমাহিত এবং মানব-প্রাক-ইতিহাসের প্রমাণ। ঘন জঙ্গলের মধ্যে ভুলে যাওয়া ইতিহাসের একটি অচেনা অধ্যায় উন্মোচিত করেছে।
সাফোকের ইস্ট ফার্ম বার্নহ্যামের প্রত্নতাত্ত্বিকরা প্রস্তর যুগের ‘টাউন হল’-এর কেন্দ্রে একটি প্রাগৈতিহাসিক অগ্নিকুণ্ড আবিষ্কার করেছেন। যেখানে লক্ষ লক্ষ বছর আগে আদি মানুষ একত্রিত হয়েছিল। কেন্দ্রীয় অগ্নিকুণ্ড থেকে বোঝা যায় যে এটি প্রাথমিক ভাষা এবং সামাজিক কথোপকথনের বিকাশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান হতে পারে।
অধ্যাপক নিক অ্যাশটন এবং তাঁর দল খননকাজের মাধ্যমে ব্রিটেনের শেষ প্রধান বরফ যুগের পরে তাপ এবং মাটির স্তর দ্বারা পরিবর্তিত চকমকি পাথরের সরঞ্জামগুলি আবিষ্কার করেছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার ছিল লোহার পাইরাইট (বোকার সোনা)- এর টুকরো যা আগুন জ্বালানোর জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। যা মানব উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত চিহ্নিত করে।
