আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রেমে বয়স যেন সংখ্যা মাত্র। বয়সে যতই ছোট হোক, তরুণের সঙ্গে মেলামেশা করেই যুবতী টের পেয়েছিলেন, এই হল তাঁর মনের মানুষ। বয়সে ছোট হলেও, প্রেমিকের সঙ্গে উদ্দাম যৌনতায় মেতে উঠেছিলেন। প্রেমের সম্পর্ক পরিণতি পায় অল্পদিনের মধ্যেই। কিন্তু তারপরেই মাথায় বাজ পড়ার মতো বিপত্তি ঘটল। 

 

জানা গেছে, বয়সে ছোট প্রেমিককে বিয়ে করেছিলেন যুবতী। কয়েক বছরের দুই সন্তানের জন্ম দেন ওই যুবতী। সন্তানদের জন্মের পর হঠাৎ ডিএনএ পরীক্ষার পরিকল্পনা করেন দম্পতি। হাসপাতালে যাওয়ার পর তাঁদেরও ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। সেই ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই মূর্ছা যান যুবতী। কপালে হাত দিয়ে বসে পড়েন তরুণ। 

 

ভাগ্যের এমন পরিহাস! ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টে জানা যায়, বর্তমান স্বামী, ওই তরুণ আদতেই যুবতীর প্রথম সন্তান। কয়েক দশক এই সন্তানকেই দত্তক দিয়েছিলেন তিনি। কারণ? যুবতী জানিয়েছেন, প্রথম সন্তানের জন্মের সময় তাঁর চরম আর্থিক অনটন ছিল। পরিবার, তৎকালীন প্রেমিক, কেউই তাঁর পাশে দাঁড়াননি। আর্থিক সমস্যায় এমন জেরবার ছিলেন, সন্তানের খাবারটুকু জোগাড় করার মতো সামর্থ্য ছিল না তাঁর। 

 

আরও পড়ুন: কাকিমার সঙ্গে উদ্দাম যৌনতা, ভাইপোকে হাতেনাতে ধরেছিলেন কাকা, ১০ বছর পর চরম প্রতিশোধ! হাড়হিম কাণ্ড এই রাজ্যে

 

কাউকে না জানিয়েই প্রথম সন্তানকে দত্তক দেন তিনি। কিন্তু তারপর থেকে নিজের সন্তানের আর কোনও খোঁজ নেননি। সন্তানটি বেঁচে আছে কিনা, কারা তাঁকে মানুষ করছেন, ঠিক মতো খেতে পায় কি না, কোনও কিছুরই খোঁজ নেননি তিনি।

 

মাঝে পেরিয়ে গেছে অনেকগুলো বছর। কয়েক দশক পর এক তরুণের সঙ্গে হঠাৎ দেখা হয় যুবতীর। কিছুদিন মেলামেশার পর একে অপরের প্রেমে হাবুডুবু খেতে শুরু করেন। তারপরেই দুজনে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন। চুটিয়ে সঙ্গম করেন দুজনে। এরপরই হঠাৎ তাঁরা‌ বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। দুজনের বিয়ের অনুষ্ঠানে অনেকেই হাজির ছিলেন। কয়েক বছরের ব্যবধানে দুই সন্তানের জন্ম দেন যুবতী। 

 

দুই সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়েও চিন্তাভাবনা শুরু করেন তাঁরা। লিগ্যাল কনসাল্টেশনের জন্য এরপর ডিএনএ পরীক্ষার প্রস্তাব দেন সদ্য বিবাহিত তরুণ। সেই মতো দুই সন্তানকে নিয়ে হাসপাতালে হাজির হন তাঁরা। সেই হাসপাতালে সকলের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার রিপোর্টে জানা যায়, সদ্য বিবাহিত স্বামী আদতে যুবতীর প্রথম সন্তান ছিল। 

 

ডিএনএ পরীক্ষায় জানা যায়, ৩৬ বছর আগে তরুণের জন্ম দিয়েছিলেন এই যুবতী। রিপোর্ট হাতে পেয়ে দুজনের চক্ষু চড়কগাছ। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন দুজনেই। স্বামী-স্ত্রীর কয়েক বছর আগের সম্পর্ক যে মা ও সন্তানের, তা মেনে নিতে পারেননি কেউ। তৎক্ষণাৎ দুজনের পথ আলাদা হয়ে যায়। কেউ কারও সঙ্গে আর যোগাযোগ করেননি। তাঁদের বিবাহিত জীবনের ইতি পড়ে সেখানেই। 

 

যুবতী জানিয়েছেন, ২০১৫ সালে তরুণের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। ২০১৬ ও ২০১৭ সালে দুই সন্তানের জন্ম দেন তিনি। কারো সঙ্গেই চেহারার মিল ছিল না। এমনকী নিজের প্রথম সন্তানকে দেখার পরেও তিনি চিনতে পারেননি। ছোট বয়সে, সেই বিধ্বস্ত পরিস্থিতিতে সদ্যোজাত সন্তানের খুঁটিনাটি তিনি দেখেননি। সন্তানকে কেমন দেখতে ছিল, তাও ভুলে গিয়েছিলেন।