আজকাল ওয়েবডেস্ক: সম্প্রতি এক বিবাহবিচ্ছেদের মামলা রুজু হয়েছে কোর্টে। তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক বেঁধেছে ফ্রান্সে। যার জেরে নারী অধিকারের মতো বিষয়টি পড়েছে প্রশ্নের মুখে। 

 

 

ঠিক কী ঘটেছিল? জানা গিয়েছে, এক ফরাসি ভদ্রমহিলা বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন জানিয়েছেন আদালতে। কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন গার্হস্থ্য হিংসাকে। এমনকি এই হিংসার কারণে তিনি ২০০৪ সাল থেকে স্বামীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক থেকেও দূরে রয়েছেন। ওই মহিলা ১৯৮৪ সালে গাঁটছড়া বাঁধেন। প্রথমদিকে তাঁদের সম্পর্ক খুব ভাল ছিল। চার সন্তানও রয়েছে তাঁদের। পরবর্তীতে ফাটল ধরে সেই সম্পর্কে। কিন্তু অদ্ভুতভাবে তিনি যখন বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন জানান, তখন তাঁকে আদালত জানায়, তিনি কেন স্বামীর সঙ্গে দীর্ঘদিন যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেননি। আদালতে এই কথা ওঠায় স্বাভাবিকভাবেই তা নিয়ে প্রশ্ন শুরু হয়। 

 

বিচার শেষ পর্যন্ত ইউরোপের মানবাধিকার আদালতে ওঠে। সেখানে বলা হয়, ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক জীবনের চেয়ে নারীর অধিকারকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত সব ক্ষেত্রে। পাশাপাশি তিনি কেন যৌন সম্পর্ক করেননি তা নিয়ে হস্তক্ষেপ করার অধিকারও আদালতের নেই। 

 

ওই মহিলা জানিয়েছেন, আদালতের ওই পর্যবেক্ষণ একজন নারী অধিকার আন্দোলনের কর্মী হিসেবে তাঁকে আরও দৃঢ়চেতা হতে সাহায্য করেছে। ওই মহিলার আইনজীবী লিলিয়া মাহিসেন জানিয়েছেন, পর্তুগাল বা স্পেনের মতো অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলিতেও ধর্ষণ সংস্কৃতি নির্মূল করতে এবং সম্মতি ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে সম্পর্ক গড়ে তুলতে প্রতিটি মানুষের উদ্যোগী হওয়া উচিত। 

 

অবশ্য বিতর্ক তৈরি হওয়ার পর সরকারের মুখে শোনা গিয়েছে অন্য কথা। সে দেশের সরকারের একটি সূত্র জোর দিয়ে বলেছেন, কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েক বছর ধরে যৌন সহিংসতার বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এমনকি সংসদ একটি আইন নিয়ে কাজ করছে বলেও জানা গিয়েছে। এই আইন চালু হলে ধর্ষণের সংজ্ঞাও সে দেশের পরিপ্রেক্ষিতে বদলে যাবে।