আজকাল ওয়েবডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরে একটানা চেষ্টা করছেন দমকলকর্মীরা। তবু বিস্তীর্ণ এলাকার আগুন সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেন না। সূত্রের খবর, বড় সতর্কবার্তা জারি করেছে দমকলের কর্মকর্তারা, বলছেন বাড়তে পারে আরও আগুনের গ্রাস। এর অন্যতম কারণ হিসেবে জানা গিয়েছে প্রবল হাওয়ার দাপট এবং শুষ্ক আবহাওয়া। লস অ্যাঞ্জেলস কতৃপক্ষ সতর্ক করেছে, এই পরিস্থিতিতে আগামী কয়েকদিনে আরও খারাপ হতে পারে পরিস্থিতি। ইতিমধ্যে দাবানলের কারণে ১৬জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে।

সতর্কবার্তায় আশঙ্কা করা হয়েছে, আগামী দিনে ১২০কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। রবিবারের পর সোম থেকে বুধবার পর্যন্ত ঝোড়ো হাওয়া বওয়ার পূর্বাভাস চিন্তা বাড়াচ্ছে। 

পালিসেডসের আগুনে ২২,৬০০ একর পুড়ে গেছে এবং মাত্র ১১ শতাংশ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, অন্যদিকে ইটনের আগুন, আলতাদেনা এলাকাকে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। সেখানকার ১৫ শতাংশ আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ১৪,০০০ একর পুড়ে ছাই।

আট জানুয়ারি অগ্নিকাণ্ডের খবর প্রকাশ্যে আসে। ক্যালিফোর্নিয়ার একাধিক শহরে ছড়িয়ে পড়ে দাবানল। লস অ্যাঞ্জেলস ও গ্রেটার লস অ্যাঞ্জেলস থেকে হাজার হাজার মানুষকে সরানো হয়েছিল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। প্রাথমিকভাবে দাবানলে পাঁচজনের মৃত্যুর কথা জানা গেলেও, শুক্রবার জানা গেল, দাবানলে পুড়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১০ জনের। এই সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আগুন নেভানোর পর, বেশকিছু জায়গার ছবি প্রকাশ্যে এসেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে। আর তাতেই রীতিমত শিউরে উঠছেন মানুষ। 


একঝলক দেখে মনে হবে, যেন বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে সেখানে। যেন ধু-ধূ পোড়া জমি। বাড়িঘরের কোনও চিহ্ন নেই, কখনও ছিল, তা মনে হতে পারে খুঁটিয়ে দেখলে। কেবল রয়ে গিয়েছে রাস্তার সরু রেখা। যাঁদের অগ্নিকাণ্ডের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, বেশকিছু জায়গার আগুন নেভার পর, অনেকেই সেখানে ফিরে গিয়েছেন। কিন্তু কোথায় আর ঘর? কোথায় সুইমিং পুল? বাগান? 

জো বাইডেন এই ধ্বংসলীলাকে ‘যুদ্ধের দৃশ্য’ বলে বর্ণনা করেছেন।বিধ্বস্ত এলাকায় লুঠপাট রোধে খালি করা এলাকায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশকয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।