নিতাই দে, আগরতলা: রাজ্যের স্কুলগুলিতে পাঠক্রমে সেক্স এডুকেশন ও এইচআইভি/এইডস নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেবে ত্রিপুরা সরকার। স্কুলগুলিতে রেড রিবন ক্লাব সংযোগে দেশের মধ্যে প্রথম ত্রিপুরা। মাদকের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের আহ্বান রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে এইচআইভি/এইডস রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতার বিষয়টি মানুষের কাছে আরও বেশি করে নিয়ে যেতে হবে। রাজ্যের যুব সমাজকে আরও বেশি করে খেলাধুলা, সংস্কৃতিকচর্চা ও সামাজিক কাজে যুক্ত করতে হবে। এক্ষেত্রে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের প্রতিনিধি, সাংসদ ও অভিভাবকদের বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা বিধানসভার লবিতে ত্রিপুরা এক্স কন্ট্রোল সোসাইটি এবং স্বাস্থ্য দপ্তরের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এইচআইভি/এইডস শীর্ষক জনসচেতনামূলক আলোচনা চক্রের উদ্বোধন করে এই কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডা: মানিক সাহা। তিনি বলেন এইডসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সংঘবদ্ধভাবে সাহস ও প্রতিশ্রুতি নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। ত্রিপুরা বিধানসভায় শাসক এবং বিরোধী দলের সমস্ত বিধায়কদের নিয়ে এই কর্মশালার উদ্বোধন করে এমনই বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী । তিনি আরও বলেন রাজ্য সরকার অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সেক্স এডুকেশন (যৌন শিক্ষা) এবং এইচআইভি/এইডস সম্পর্কিত একটি চ্যাপ্টার পাঠক্রমে যুক্ত করার পরিকল্পনা করছে এবং এবিষয়ে শীঘ্রই শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বর্তমানে রাজ্যে প্রতি মাসে ১২০ জন আক্রান্ত হচ্ছেন। যা উদ্বেগের বিষয়। আমাদের অবশ্যই এইডস নির্মূল করতে এবং এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তাঁর কথায়, আমাদের বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে এবং সেখান থেকে মাদকও রাজ্যে আসে। তাই এই বিষয়ে আরও কড়া নজরদারি রাখতে হবে। ছেলেমেয়েদের আরও বেশি করে খেলাধুলা, সংস্কৃতি ও অন্যান্য ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করছে রাজ্য সরকার। ২০২৩ সালের তুলনায়, ২০২৪ সালে মাদক বাজেয়াপ্ত করার পরিমাণ ১০৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। সমস্ত জনসাধারণকে ঐক্যবদ্ধভাবে মাদকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্ত হতে হবে। আর দেশের মধ্যে ত্রিপুরা প্রথম রাজ্য যেখানে স্কুলগুলিতে রেড রিবন ক্লাব চালু করা হয়েছে। তাঁর কথায়, বর্তমানে রাজ্যে পাঁচ হাজারের উপর এইডস রোগী আছে। রাজ্যে প্রতি মাসে ১২০ জনের মতো এইচআইভি আক্রান্ত হচ্ছে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ত্রিপুরা বিধানসভার অধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন, উপাধ্যক্ষ রামপ্রসাদ পাল, বিদ্যুৎমন্ত্রী রতনলাল নাথ, মুখ্য সচেতক কল্যাণী সাহা রায়, কংগ্রেস, সিপিএম ও তিপ্রা মথা দলের বিধায়করা, স্বাস্থ্য দপ্তরের সচিব কিরণ গিত্যে, পুলিশের মহানির্দেশক অনুরাগ সহ অন্যান্য আধিকারিকগণ।
