অরিন্দম মুখার্জি : ২০ আগস্ট হারিয়ে গিয়েছিল প্রশিক্ষণ বিমানটি। ভারতীয় নৌবাহিনী এবং এনডিআরএফের তৎপরতায় উদ্ধার করা হল বিমানটির ধ্বংসাবশেষ। জামশেদপুরের চান্ডিল জলাধার থেকে উদ্ধার করা হল বিমানটিকে। এদিন বিমানটি উদ্ধারের পর সেটিকে দেখতে ভিড় জমান স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রায় সকলেই এই ছবি নিজেদের ক্যামেরাবন্দি করেন।
২০ আগস্ট জামশেদপুরের সোনারি বিমানবন্দর থেকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য বিমানটি উড়েছিল কিন্তু ১৫ মিনিট পর সোনারি বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তারপর থেকে সেই বিমানটিকে খোঁজা শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন। তবে বিমানটির খোঁজ না পেয়ে জেলা প্রশাসন ভারতীয় নৌবাহিনীকে খবর দেয়। এরপরই ভারতীয় নৌবাহিনী এবং এনডিআরএফ যৌথভাবে কাজে নামে। চান্ডিল জলাধরের গভীরতা এতটাই বেশি যে সেই বিমানের ধ্বংসাবশেষ জলাধারে পড়ে আছে কিনা তা খুঁজে বের করার জন্য ভারতীয় নৌবাহিনীর দল লেজার সিস্টেমকে ব্যবহার করে এবং অত্যাধুনিক এক্স-রে যন্ত্রের সাহায্যে তাঁরা জলের তলায় খোঁজ চালায়। ২৫ আগস্ট মধ্যরাতে অ্যাভিয়েশন আলকেমিস্ট প্রাইভেট লিমিটেডের বিমানটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়।
কয়েকদিন আগেই আগেই শিক্ষার্থী পাইলট ১৯ বছরের শুভ্রদীপ দত্ত এবং শিক্ষক পাইলট ক্যাপ্টেন জিৎ শত্রু আনন্দের দেহ এন এন ডি আরএফ এবং ভারতীয় নৌবাহিনী দল উদ্ধার করেছিল। জেলা প্রশাসনের এসডিএম শুভ্রা রাণী বলেন, এই সাফল্য ভারতীয় নৌবাহিনী এবং এসডিআরএফ-এর যৌথ প্রয়াসেই সম্ভব হয়েছে।
মৃত শুভ্রদীপ দত্তের বাবার অভিযোগ, কদিন ধরেই তাঁর ছেলে তাঁকে জানিয়েছিল আলকেমিস্ট অ্যাভিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেডের শিক্ষা দেওয়ার এই বিমানগুলি ঠিকঠাক কাজ করছে না। তারপরই ছেলের এমন মৃত্যুর ঘটনা তাঁরা মেনে নিতে পারছেন না। শুভ্রদীপ দত্তের বাবা নিমডিয়া পুলিশ স্টেশনে এফআইআর দাখিল করেছেন।
