আজকাল ওয়েবডেস্ক: স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনায় নির্জলা উপোস, ছাঁকনি দিয়ে চাঁদ আর স্বামীর মুখ দেখা- করওয়া চৌথের এই চেনা ছবির সঙ্গেই অভ্যস্ত অধিকাংশ মানুষ। কিন্তু উৎসব পালনের আঙ্গিক যে দিন দিন বদলাচ্ছে, তা আরও এক বার দেখিয়ে দিল দিল্লির একটি ভিডিও। মেহেন্দি পরার আসরেই দেদার চলছে হুঁকোয় টান। পশ্চিম দিল্লির এই দৃশ্য নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই শুরু হয়েছে জোর চর্চা।

 

সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, রাস্তার ধারে একটি মেহেন্দির দোকানে বসে হাতে মেহেন্দি পরছেন কয়েক জন মহিলা। করওয়া চৌথের প্রস্তুতি তুঙ্গে। এরই মধ্যে এক ব্যক্তি তাঁদের কাছে একটি হুঁকো নিয়ে আসেন। এর পরেই ওই মহিলারা এক এক করে হুঁকোয় টান দিতে শুরু করেন। ইনস্টাগ্রামে ভিডিওটি পোস্ট করে তার সঙ্গে লেখা হয়েছে, “একটু সংস্কার, আর একটু ধোঁয়া- এ ভাবেই আমরা এ বারের করওয়া চৌথের জন্য তৈরি হচ্ছি।”

 

উৎসবের প্রথাগত ধারণার সঙ্গে এই ছবিকে মেলাতে পারছেন না অনেকেই। এক দিকে যখন স্বামীর মঙ্গল কামনায় কঠিন ব্রত পালনের প্রস্তুতি চলছে, তখন অন্য দিকে হুঁকোর ধোঁয়ায় সেই আড়ম্বর কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনদের একাংশ। যদিও অন্য পক্ষের মতে, উৎসব পালনের পদ্ধতি এক এক জনের কাছে এক এক রকম এবং এটি নিতান্তই ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়।

আরও পড়ুন: সুযোগ বুঝে গোপনে মন্দিরের ভিতরেই নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা পঁচাত্তরের পূজারীর, হাড়হিম কাণ্ড রাজ্যে 

এরই মধ্যে করওয়া চৌথ নিয়ে আরও একটি মজার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, এক স্ত্রী প্রথা মেনে ছাঁকনির মধ্যে দিয়ে প্রথমে চাঁদ এবং তার পর স্বামীকে দেখছেন। কিন্তু এর পরেই তিনি মোবাইলে স্বামীর পায়ের ছবি তুলে তাতেই প্রণাম সারেন। স্বামীও কম যান না। স্ত্রীকে আসল গয়নার বদলে মোবাইলে একটি নেকলেসের ছবি দেখিয়ে দেন। উপহারের এই ‘ডিজিটাল’ রূপ দেখে স্ত্রীর মুখে ফুটে ওঠে বিস্ময় এবং হতাশা।

আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরুতে চরম হেনস্থার শিকার যুবতী! কন্নড় না বলায় এ কী করলেন চালক? ভিডিও প্রকাশে উত্তাল নেটপাড়া 

করওয়া চৌথে বিবাহিত মহিলারা সূর্যোদয় থেকে চাঁদ দেখা পর্যন্ত উপোস রেখে স্বামীর মঙ্গল কামনা করেন। মা করভার পুজো এবং বিভিন্ন প্রথা পালনের মধ্যে দিয়ে দিনটি কাটে। তবে মেহেন্দির আসরে হুঁকো টানা বা উপহার আদানপ্রদানে ডিজিটাল মাধ্যম ঢুকে পড়ায় অনেকেই মনে করছেন, উৎসবের বাইরের চাকচিক্য বাড়লেও তার ভেতরের নিষ্ঠা এবং সাবেক প্রথাগুলি ক্রমশ ফিকে হয়ে আসছে।