আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের আরও একটি নির্মম ঘটনা সম্প্রতি সামনে এসেছে। ঘটনাটি ঘটেছে মমহারাষ্ট্রে। খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে এক যুবতী তাঁর স্বামীকে হত্যা করেছে। এই নৃশংস কাজটি তিনি তাঁর বর্তমান প্রেমিকের সাহায্যে করেছে বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়৷ তদন্ত শুরু করা হয়।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম কোমল চবন। তাঁর স্বামী বিজয় চবন (৩৫)। সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরে স্বামীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না। বিভিন্ন খুটিনাটি বিষয়ে তাঁদের কথা কাটাকাটি চলত৷ এহেন সময়ে অভিযুক্ত যুবতী কোমল অন্য একজনের সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পড়েন৷ খবর অনুযায়ী প্রেমিকের সঙ্গে ফাঁদ পেতে কোমল তাঁর স্বামীকে খুন করেন৷ এখানেই থেমে নেই। স্বামীর মৃতদেহ এখনকার বর্তমান অবস্থান থেকে অনেক দূরে সরিয়ে ফেলার পরিবর্তে তিনি বাছেন অন্য পথ। আর তা দেখে রীতিমতো চোখ কপালে সবার৷ কোমল স্বামীর মৃতদেহ মুম্বাই শহর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে নালাসোপাড়া পূর্বের গডগপাড়ায় সাই ওয়েলফেয়ার সোসাইটিতে অবস্থিত একটি চলের ঘরের মেঝের নীচে পুঁতে রাখেন।
এখানেই অদ্ভুত এক মোড়। সূত্রে জানা গিয়েছে কোমল এবং তাঁর প্রেমিক মনু প্রথমে মৃতদেহ মেঝের নীচে পুঁতে রাখেন। এরপর অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ঘটনাস্থলে নতুন টাইলস লাগান। এই ঘটনা অজয় দেবগনের চরিত্র বিজয় সালগাঁওকারের ক্রাইম থ্রিলার 'দৃশ্যম'-এ ব্যবহৃত পদ্ধতির সঙ্গে আশ্চর্যজনকভাবে মিল।
সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৫ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে চবনের দুই ভাই তাঁকে খুঁজতে আরম্ভ করেন। এরপরই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। সোমবার সকালে চবনের ভাই যখন তাঁদের বাড়িতে পৌঁছন, তিনি অদ্ভুত জিনিস লক্ষ করেন৷ তাঁরা দেখতে পান যে বাড়ির টাইলসের রঙ পালটে গিয়েছে। এটি'ই তাঁদের সন্দেহের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এরপর তাঁরা টাইলস সরিয়ে ফেললে সেখান থেকে তীব্র দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করে। তাঁরা তৎক্ষণাৎ পুলিশকে ফোন করে সমস্তটা জানান। এরপর শুরু হয় টাইলস অপসারণের কাজ।
কোমল চবন প্রতিবেশীদের জানান যে তাঁর বাথরুমে জল আটকে গিয়েছে। তাই তিনি লোকেদের ডেকে এটি খুঁড়ে বের করার জন্য বলেন। কিন্তু কেউ জানত না এটি কী কারণে করা হচ্ছে। কোমলের ৮ বছরের একটি ছেলে রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ 'ভালোবাসতাম বলে মারতাম', বিদেশের মাটিতে কেরালার যুবতী খুন, স্বামীর চাঞ্চল্যকর স্বীকারক্তি
সম্প্রতি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে হত্যার ঘটনা সমাজকে হতবাক করছে। সবচেয়ে নৃশংস ঘটনাটি ঘটেছে চলতি বছরে মেঘালয়ে। যেখানে এক যুবতী সোনম রঘুবংশী তাঁর সদ্য বিবাহিত স্বামী রাজাকে মধুচন্দ্রিমা করতে গিয়ে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পরে পুলিশ তদন্তে দেখা গিয়েছে যে সোনম তাঁর নিজের পছন্দের মানুষকে বিয়ে করেননি। তিনি অন্য একজনের প্রেমে পড়েছিলেন এবং তাঁর সঙ্গেই সহবাস করতে চেয়েছিলেন৷
উত্তর প্রদেশের মিরাট থেকে আরেকটি ভয়াবহ ঘটনা জানা গিয়েছে। যেখানে একজন মার্চেন্ট নেভি অফিসার খুন হন নিজেরই স্ত্রী'র হাতে। সৌরভ রাজপুত কে প্রথমে খুন করা হয়৷ এরপর মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলা হয়। তাঁর দেহের প্রায় ১৫ টি টুকরো একটি ড্রামে পুঁতে সিমেন্ট দিয়ে সিল করে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ জানিয়েছে, সৌরভ রাজপুতের স্ত্রী মুসকান রাস্তোগির সাহিল শুক্লা নামে এক যুবকের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল।
