আজকাল ওয়েবডেস্ক: বোনপোর সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন মাসি। ক্রমেই গভীর প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ হন। একদিন বাড়ির মধ্যে দু'জনকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেছিলেন স্বামী। তারপরেই ঘটল বিপত্তি। মাস কয়েক পরে স্বামীকে পরিকল্পনামাফিক নৃশংসভাবে খুন করলেন স্ত্রী। সেই হত্যাকাণ্ডে সাহায্য করেছিলেন তাঁর বোনপো।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে। পুলিশ জানিয়েছে, ১১ মে নিজের বাড়িতে রক্তাক্ত অবস্থায় ধীরেন্দ্রর দেহ উদ্ধার করা হয়। এরপরই তাঁর স্ত্রী রীনা অভিযোগ করেন, প্রতিবেশী কীর্তি ও তাঁর দুই ছেলে মিলে ধীরেন্দ্রকে খুন করেছেন। এমনকী প্রতিবেশীর দিকে অভিযোগের তির ছুঁড়ে এলাকায় তীব্র বিক্ষোভ দেখান। স্থানীয় নেতাদের কাছেও অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এলাকায় এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে প্রতিবাদে সামিল হন বহু মানুষ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কীর্তি ও তাঁর এক ছেলেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
কিন্তু তারপরেও চলে তদন্ত। পুলিশ জানিয়েছে, ধীরেন্দ্রর ঘরেই রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছিল। রক্তের দাগ লাগা কাঠের তক্তাও পাওয়া গিয়েছিল। সেই রক্তের সঙ্গে ধীরেন্দ্রর রক্তের মিল ছিল। ডগ স্কোয়াড ধীরেন্দ্রর বাড়ির সামনেই থেমে গিয়েছিল। যা থেকে পুলিশ নিশ্চিত ছিল, ধীরেন্দ্রকে বাড়ির মধ্যেই খুন করা হয়েছিল।
এরপর রীনার ফোনের তথ্য সংগ্রহ করে পুলিশ। জানা গেছে, সেই রাতে বোনপো সত্যমের সঙ্গে ৪০ বার ফোনে কথা বলেছিলেন রীনা। সত্যমকে জিজ্ঞাসাবাদের পর খুনের ঘটনাটি তিনি স্বীকার করেন। পুলিশকে জানান, খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অজ্ঞান করেছিলেন রীনা। এরপর কাঠের তক্তা দিয়ে মাথায় আঘাত করে খুন করেন। রক্তের দাগ মুছে, স্নান করে সন্তানদের কাছে ঘুমাতে যান।
জানা গেছে, রীনা ও সত্যমকে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে দেখে ফেলেছিলেন ধীরেন্দ্র। তখনই তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন রীনা। ইতিমধ্যেই সত্যম ও রীনাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
