আজকাল ওয়েবডেস্ক: লিভ ইন সম্পর্কে ফের ভয়ঙ্কর পরিণতি। তরুণীকে শ্বাসরোধ করে খুন যুবকের। এক সপ্তাহ ধরে ভাড়া বাড়িতেই ঘরবন্দি তরুণীর মৃতদেহ। অবশেষে উদ্ধার সেই পচাগলা মৃতদেহ। অন্যদিকে পলাতক মৃত তরুণীর লিভ ইন সঙ্গী। ঘটনাটি ঘিরে উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে গুরুগ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুনদাহেরা গ্রামে এক ভাড়া বাড়ির বিছানার তলা থেকে এক তরুণীর পচাগলা দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই তাঁর লিভ ইন সঙ্গী পলাতক। ২৬ বছর বয়সি মৃত তরুণীর নাম, অঙ্গোরি। শ্বাসরোধ করে তাঁকে খুন করা হয়েছে বলেই পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। 

উদ্যোগ বিহার থানায় ঘটনাটি ঘিরে ইতিমধ্যেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, অঙ্গোরি নামের ওই তরুণী অনুজ নামের এক যুবকের সঙ্গে দেড় বছর ধরে লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন। দুনদাহেরার এই ভাড়া বাড়িতে ২০ দিন আগেই যুগল থাকতে শুরু করে‌। 

প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, গত ৩১ অক্টোবর অঙ্গোরিকে শেষবারের মতো দেখা গিয়েছিল। সেদিন সকাল ন'টায় বেরিয়ে অফিসে গিয়েছিল। সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ ফিরে আসেন। তারপর থেকে তাঁর কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। বুধবার ওই ভাড়া বাড়ি থেকে পচা দুর্গন্ধ পেয়েই পুলিশে খবর দেন আশেপাশের বাসিন্দারা। 

ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ ঘরের ভিতর বিছানার তলা থেকে তরুণীর পচাগলা দেহ উদ্ধার করে। পুলিশের অনুমান, এক সপ্তাহ আগেই অনুজ অঙ্গোরিকে খুন করে পালিয়ে যান। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি ফরেন্সিক টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু করেছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, গত মে মাসে আরেকটি নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। লিভ-ইন সঙ্গীকে নৃশংসভাবে খুন যুবকের। হত্যাকাণ্ডের ছ'মাস পর অবশেষে পুলিশি জেরায় স্বীকার করল সে‌। এও জানাল, লিভ-ইন সঙ্গীর সঙ্গে তুমুল অশান্তির জেরেই তাঁর গলা কেটে খুন করে সে‌। তারপর খালের মধ্যে ভাসিয়ে দেয় মুণ্ডুহীন দেহ। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরাখণ্ডের উধম সিং নগর জেলায়। পুলিশ জানিয়েছে, খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২৪ সালে নভেম্বর মাসে। পূজা বিশ্বাসের সঙ্গে মোস্তাক আহমেদের পরিচয় হয়েছিল বহু আগে। তারপর গুরুগ্রামে দু'জনে লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন। পূজা একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতেন। মোস্তাক ক্যাব চালক ছিল। পূজার সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে থাকাকালীন গতবছর নভেম্বর মাসে উত্তরাখণ্ডে ফিরে এক তরুণীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয় মোস্তাক। 

মোস্তাকের বিয়ের খবরটি জানতে পারেন পূজা। তারপরেই শুরু হয় তীব্র অশান্তি। পঞ্চায়েতে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হয়। ১৬ নভেম্বর পূজার সঙ্গে দেখা করে, তনকপুর রোডের পাশে একটি খালের ধারে নিয়ে যায় মোস্তাক। সেখানে পূজার গলা কেটে খুন করে সে। এরপর মুণ্ডু একটি বস্তায় ভরে আর্বজনার মধ্যে ফেলে দেয়। মুণ্ডুহীন দেহটি কাপড়ে জড়িয়ে খালে জলের তোরে ভাসিয়ে দেয়। 

কয়েক মাস বিষয়টি কেউই টের পাননি। দীর্ঘদিন বোনের খোঁজ না পাওয়ায় গত ডিসেম্বরে গুরুগ্রামের সেক্টর ৩ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন পূজার দিদি। তারপরেই পুলিশ খোঁজ শুরু করে। মোস্তাকের খোঁজ পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। কয়েক মাস জেরার পর পূজাকে খুনের ঘটনাটি স্বীকার করে সে। সেই খালের ঠিকানাও জানায় পুলিশকে। খালে তল্লাশি চালিয়ে দেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত মুণ্ডুটি পাওয়া যায়নি।