আজকাল ওয়েবডেস্ক: নারী দিবসে বড় ঘোষণা করে দিলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। জোর করে ধর্মান্তকরণের চেষ্টা হলে অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হবে বলে জানালেন মোহন যাদব। বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে কোনও মতেই জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত হওয়ার বিষয়টি বরদাস্ত করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
ভোপালের এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদব বলেছেন, "আমাদের নিষ্পাপ মেয়েদের প্রলোভন বা ভালোবাসার টোপ দিয়ে ধর্মান্তকরণের মতো অত্য়াচার চালালে বিজেপি সরকার তা মেনে নেবে না। অত্যাচারকারীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের জন্য অত্যন্ত কঠোর আইমন রয়েছে। যারা জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করবে তাদের আমরা ছাড় দেব না। এই ধরনের লোকদের বাঁচতে দেওয়া উচিত নয়। 'ধর্মীয় স্বাধীনতা' আইনের মাধ্যমে, আমরা জোরপূর্বক ধর্মান্তরিতদের মৃত্যুদণ্ডের বিধানের জন্য কাজ করছি।"
২০২১ সালের ৮ মার্চ মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় 'ধর্মীয় স্বাধীনতা' আইন পাস হয়। ওই আইনের মাধ্যমে বিজেপি জোরপূর্বক ধর্মান্তরের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান আরও কঠোর করে। বিজেপি প্রায়শই "লাভ জিহাদ" শব্দটি ব্যবহার করে হিন্দু মহিলাদের বিয়ে করতে এবং ইসলামে ধর্মান্তরিত করার জন্য মুসলিম পুরুষদের দ্বারা প্রলুব্ধ করার অভিযোগে ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে।
জোরপূর্বক ধর্মান্তকরণ রোধে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ এবং গুজরাটেও এই ধরনের আইন রয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের আইনে অবৈধ ধর্মান্তকরণের জন্য দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তিদের ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং মোটা অঙ্কের জরিমানার বিধান রয়েছে। আইনটি প্রতারণামূলক উপায়ে, যেমন বিয়ের লোভ, মিথ্য়া প্রচার, হুমকি বা বলপ্রয়োগ বা প্রভাবখাটানোর মাধ্যমে ধর্মান্তকরণ করার বিষয়টিকে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
বলা হয়েছে যে, আইন লঙ্ঘন করে সম্পন্ন যেকোনও বিবাহ বাতিল ঘোষণা করা হবে। ধর্ম গোপন করে বিবাহের ক্ষেত্রে, লঙ্ঘনকারীদের ১০ বছর পর্যন্ত জেল এবং ৫০,০০০ টাকা জরিমানাও করা যেতে পারে। আইন অনুসারে ধর্মান্তরিত ব্যক্তির বাবা-মা, আইনি অভিভাবক বা ভাইবোনদের অভিযোগ দায়ের করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। যারা ধর্মান্তরিত হতে ইচ্ছুক তাদের ৬০ দিন আগে জেলা প্রশাসনে আবেদন করতে হবে।
