আজকাল ওয়েবডেস্ক: বুধবার দিনভর নজর ছিল সুপ্রিম কোর্টের দিকে। দুপুরে দেশের শীর্ষ আদালতে ওয়াকফ মামলার শুনানি শুরু হয়। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। নয়া ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে গত কয়েকদিনে একগুচ্ছ মামলা দায়ের হয়েছে। যদিও বৃহস্পতিবার শুনানিতে ওয়াকফ সংশোধিত আইনে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। 

ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিম সদস্যদের অন্তভূর্ক্ত করার বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিনে জলঘোলা হয়েছে বিস্তর। এই নয়া সংশোধিত আইন মুসলিমদের স্বার্থবিরোধী বলেও অভিযোগ তুলেছেন অনেকে। কী বলা হচ্ছে নয়া আইনে? সেখানে ওয়াকফ বোর্ডে অন্তত দু’জন অ-মুসলিম সদস্য রাখার বিধান দেওয়া হয়েছে। সংশোধিত আইনে অমুসলিম সদস্যদের ওয়াকফ বোর্ডে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিয়ে জোর বিতর্ক। আবেদনকারীদের এক পক্ষের দাবি এই পদক্ষেপ মুসলমানদের নিজেদের ধর্মীয় বিষয় পরিচালনার স্বাধীনতাকে ক্ষুন্ন করে। মামলার শুনানি চলাকালীন ওয়াকফ বোর্ডে হিন্দু সদস্যদের থাকার বিধান নিয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী কপিল সিব্বল। সংবিধানের ২৬ নম্বর পরিচ্ছেদের উল্লেখ করেন তিনি। 

তারপরেই প্রধান বিচারপতি আইনজীবী এস জি মেহতাকে প্রশ্ন করেন, ‘এখন থেকে কি মুসলিমরাও হিন্দু সম্পত্তি বোর্ডের সদস্য হতে পারবেন?’ বিচারপতির মন্তব্যে উঠে আসে তিরুপতি বোর্ডের প্রসঙ্গও। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, শীর্ষ আদালত এই বিষয়ে একেবারে সুস্পষ্ট বার্তা দিতে চেয়েছে। বক্তব্য, যদি হিন্দু ট্রাস্টে মুসলিমরা সদস্য হতে পারেন, তাহলে অবলীলায় অমুসলিম সদস্য ওয়াকফ বোর্ডের সদস্য হতে পারবেন।