আজকাল ওয়েবডেস্ক: রোজগার নেই। দিন আনি-দিন খাই দশার মধ্যেই ষষ্ঠ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন স্ত্রী। হাসপাতাল থেকে স্ত্রী ও সদ্যোজাত সন্তানকে ছাড়িয়ে আনতে গিয়েই বিপাকে যুবক। হাসপাতালের বিল মেটাতে না পারায় তাঁর তিন বছরের ছেলেকে বিক্রি করতে জোর করলেন হাসপাতালেরই চিকিৎসক! পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতেই বেসরকারি হাসপাতালের বড়সড় দুর্নীতি ফাঁস হল অবশেষে। 

 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, হরিশ প্যাটেল খুবই দরিদ্র। দিন কয়েক আগেই ষষ্ঠ সন্তানের জন্ম দেন হরিশের স্ত্রী। হাসপাতালের বিল সম্পূর্ণ মেটানোর মতো তাঁর হাতে টাকা ছিল না। এদিকে হাসপাতাল থেকে স্ত্রী ও সদ্যোজাত সন্তানকে ছাড়াতে গিয়েই নতুন বাধার সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে। ওই বেসরকারি হাসপাতালের এক চিকিৎসক তাঁকে তিন বছরের ছেলেকে বিক্রি করতে জোর করেন। সেই চাপে ছেলেকে বিক্রি করে দেন হরিশ। 

 

পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার মাত্র কয়েক হাজার টাকার বিনিময়ে তিন বছরের ছেলেকে বিক্রি করে দেন হরিশ। অবৈধভাবে শিশু দত্তক নেওয়ার বিষয়টি জানতে পারে পুলিশ। এরপর হরিশের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তার মধ্যে হাসপাতালের ওই অভিযুক্ত চিকিৎসক এবং সহযোগী রয়েছেন। শিশুটিকে যাঁরা দত্তক নিয়েছিলেন, তাঁদেরও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি কর্তব্যে গাফিলতির কারণে একজন পুলিশ কনস্টেবলকে দায়িত্ব থেকে সরানো হয়েছে। 

 

পুলিশ জানিয়েছে, পাঁচজনের গ্রেপ্তারির পর শিশুটিকে উদ্ধার করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের অনুমান, বেসরকারি হাসপাতালে শিশু বিক্রির একটি বড় পরিকল্পনা ফাঁস হয়েছে এই ঘটনার মাধ্যমে। ঘটনার তদন্ত জারি রেখেছে পুলিশ।