আজকাল ওয়েবডেস্ক: টাকার লোভ। ভাইয়ের মৃত্যুর পর বিমার টাকার লোভ সামলাতে পারেনি দাদা। সেই বিমার টাকার জন্যেই বিধবা বউদিকে নির্মমভাবে শেষ করল সে। মাথায় একাধিকবার ইটের আঘাত দিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে ভাসুরের বিরুদ্ধে। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, টাকার লোভে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে নির্মমভাবে খুন করার অভিযোগ উঠেছে ভাসুরের বিরুদ্ধে। ভাইয়ের মৃত্যুর বিমার টাকা দিতে নারাজ ছিলেন বিধবা বউদি। সেই বিমার টাকার জন্যেই বিধবা বউদিকে খুন করে ভাসুর। 

পুলিশ আরও জানিয়েছে, মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে শেরগড় এলাকার সাইয়ারাহ গ্রামে। মৃত বিধবার নাম, আরতি (২৫)। গত ২০২৩ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় তাঁর স্বামী সুখবীরের মৃত্যু হয়েছিল। বিমার টাকা নিয়ে ঝামেলা ঘিরে একটি মামলাও চলছিল। শীঘ্রই এই মামলার শুনানির কথা ছিল। এই বিমার টাকা নিয়ে আরতির সঙ্গে নিত্যদিন ঝামেলা হত অভিযুক্ত রাজবীরের। 

পুলিশ আধিকারিক সুরেশ চাঁদ রাওয়াত জানিয়েছেন, বিমার টাকার জন্য আরতির সঙ্গে ঝামেলা করত রাজবীর। তবে সেই টাকা দিতে নারাজ ছিলেন বিধবা তরুণী। সন্তানদের উচ্চশিক্ষার জন্য সেই বিমার টাকা জমিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন আরতি। ঘটনার সকালে সন্তানরা যখন ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল, তখনই চুপিচুপি আরতির ঘরে ঢোকে রাজবীর। 

সেই সকালেই বিমার টাকা নিয়ে অশান্তি শুরু হয়। রাগের মাথায় তখন ইট দিয়ে আরতির মাথায় সজোরে একাধিকবার আঘাত করে সে। গুরুতর আহত অবস্থায় ঘরেই লুটিয়ে পড়েন আরতি। তখনই ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায় রাজবীর। কিছুক্ষণ পর সন্তানরা ও প্রতিবেশীরা মিলে আরতিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। রাজবীরের বিরুদ্ধে এফআইআর রুজু করেছে পুলিশ। এখনও অধরা অভিযুক্ত যুবক। 

প্রসঙ্গত, অক্টোবরে ঝাড়খণ্ডে আরও এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। চার মাস আগে বিয়ে। সুখের সংসারে আচমকা ঝড়। বিমার টাকার লোভে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন যুবকের। তবে বিষয়টি এমনভাবে সাজিয়েছিলেন, যা দেখে মনে হয়েছিল দুর্ঘটনায় স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরেই যুবকের কুকীর্তি ফাঁস হয়েছে পুলিশের কাছে। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডে। মঙ্গলবার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে হাজারিবাগ জেলায়। সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে ৩০ বছর বয়সি এক যুবকের বিরুদ্ধে। বিমার টাকা পাওয়ার জন্য স্ত্রীকে খুন করেন যুবক। কিন্তু ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশকে জানায়, দুর্ঘটনার জেরেই সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার পরেই অভিযুক্ত মুকেশ কুমার মেহতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ২৩ বছরের তরুণীর নাম, সেবন্তী কুমারী। চার মাস আগেই তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মুকেশের। ৯ অক্টোবর সেবন্তীকে খুন করেন মুকেশ। হত্যাকাণ্ডের পর সকলে জানান, দুর্ঘটনায় স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। বিমার ৩০ লক্ষ টাকা পাওয়ার জন্যেই স্ত্রীকে খুন করেন মুকেশ। 

এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ৯ অক্টোবর রাতে পথচলতি কয়েকজন মানুষ পুলিশে খবর দেন, ৩৩ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে পদ্ম - ইটখোরি সড়কে এক দম্পতি রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে আছেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দম্পতিকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। ততক্ষণে অচৈতন্য থাকার নাটক করেছিল মুকেশ। 

হাসপাতালে পৌঁছনোর পরে তরুণীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে আহত অবস্থায় মুকেশ হাসপাতালে ভর্তি হন। যে আঘাতগুলি নিজেকেই করেছিলেন তিনি। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর জানা যায়, দুর্ঘটনা নয়, তরুণীকে খুন করা হয়েছিল। মুকেশকে দীর্ঘ জেরার পর আসল ঘটনা ফাঁস হয়। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন অভিযুক্ত যুবক।