আজকাল ওয়েবডেস্ক: মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনায় মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল তাঁকে। মঙ্গলবার বাড়ি ফিরে এসে তিনি দেখেন পাড়ায় তাঁর পারলৌকিক কাজ চলছে।
পাড়া প্রতিবেশীর কাছে তিনি 'খুঁটি গুরু' বলেই পরিচিত। প্রয়াগরাজের জিরো রোড এলাকার চাহচাঁদ গলির এই বাসিন্দাকেই ২৯ জানুয়ারি কুম্ভ মেলার পদপিষ্টে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়েছিল।
আসল ঘটনা হল, সাধুদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে এবং গঞ্জিকা সেবন করে তিনি দিনতারিখের হিসাব বেমালুম গুলিয়ে ফেলেছিলেন। প্রায় দুই সপ্তাহ পরে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। এদিকে পরিবার ও পাড়া-পড়শিরা তাঁর আত্মার শান্তির জন্য শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের বন্দোবস্ত করেন।
'গুরু' যখন একটি ই-রিকশা থেকে নেমে আসেন, তখন তাঁকে দেখে সবার চক্ষু চড়কগাছ! “তোমরা সবাই কী করছ?” তিনি হেসে জিজ্ঞাসা করেন। কেউ হতবাক, কেউ ভূত ভেবে পড়িমরি দৌড় লাগান! ২৮ জানুয়ারির সন্ধ্যায় তিনি জানিয়ে গিয়েছিলেন যে তিনি মৌনী অমাবস্যায় স্নান করতে যাচ্ছেন।
পরের দিন সকালেই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে এবং তাঁর কোনও খোঁজ না পাওয়ায় পাড়া-পড়শিরা ধরেই নেন তিনি মারা গিয়েছেন। কয়েকদিন পরও যখন তাঁকে খুঁজে পাওয়া যায়নি, তখন প্রথা অনুযায়ী তাঁর আত্মার শান্তির জন্য আচার-অনুষ্ঠান করা হয়।
২৯ জানুয়ারি প্রয়াগরাজের মহাকুম্ভ মেলায় পদপিষ্টের ঘটনায় ৩০ জন প্রাণ হারান এবং ৬০ জন আহত হন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এক বিবৃতিতে জানান, মৌনী অমাবস্যায় আসা বিশাল জনস্রোত সামলাতে হিমসিম খাওয়ার অবস্থা হয় প্রশাসনের। একই সঙ্গে প্রচুর মানুষ পূণ্যস্নান করতে গিয়েই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
