আজকাল ওয়েবডেস্ক: শ্বশুরবাড়িতে পা রাখার পরেই বিপত্তি। সকলের সঙ্গে আড্ডা দিতে দিতে আচমকা পেটে অসহ্য যন্ত্রণা। তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর, চিকিৎসক জানালেন, নববধূ অন্তঃসত্ত্বা। সেদিনই সন্তান প্রসব করতে হবে। বিয়ের ঠিক দু'দিন পরে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন নববধূ। এ ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল এলাকায়। তুমুল অশান্তি দুই পরিবারেও। 

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে। নববধূর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২৪ ফেব্রুয়ারি তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ২৫ ফেব্রুয়ারি শ্বশুরবাড়িতে পা রাখেন। সেদিনও একাধিক আচার-অনুষ্ঠান পালিত হয়। আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশীরা মিলে তুমুল হুল্লোড় করেন। পরেরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে সকলকে চা করে খাওয়ান নববধূ। বিকেলের পরেই আবহ সম্পূর্ণ বদলে যায়। 

নববধূর পেটে তীব্র যন্ত্রণা শুরু হয়। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। দু'ঘণ্টার মধ্যে কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তরুণী। এই ঘটনায় হতবাক তাঁর স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়রা। সদ্যোজাত নিজের সন্তান নয় বলে দাবি করেছেন তাঁর স্বামী। এমনকী নববধূ ও তাঁর সন্তানকে ঘরে ঠাঁই দেবেন না বলেও সাফ জানিয়ে দেন শ্বশুর ও শাশুড়ি। 

এদিকে নববধূর বাপের বাড়ির তরফে জানানো হয়, বিয়ের আগে থেকেই যুবকের সঙ্গে তরুণীর মেলামেশা চলছিল। সন্তানটিও যুবকেরই। গতবছর মে মাস থেকে তাঁদের দেখাসাক্ষাৎ হত। এদিকে যুবকের দাবি, গতবছর অক্টোবর মাসে তাঁদের বিয়ের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়। সন্তানটি কোনোভাবেই তাঁর নয়। দুই পরিবারের মধ্যে ঝামেলা এখনও জারি রয়েছে। দামি গয়না ফেরত না দিলে নববধূর পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যুবক। এদিকে কন্যাসন্তানকে অস্বীকার করার ঘটনায় পাল্টা হুমকি দিয়েছে তরুণীর পরিবার। অশান্তির আবহে নববধূ সদ্যোজাতকে নিয়ে বাপের বাড়িতেই চলে আসেন।