আজকাল ওয়েবডেস্ক: টিউশনে গিয়েই সর্বনাশ। পড়তে বসলেই লাগাতার যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ উঠল খোদ গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। নাবালিকা ছাত্রীর কাছে পেলেই যৌন হেনস্থা করতেন ওই যুবক। খুদে খুদে ছাত্রীদের মুখে যৌন নির্যাতনের বর্ণনা শুনেই শিউরে উঠল পুলিশ।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে অরুণাচল প্রদেশে। পুলিশ জানিয়েছে, কমপক্ষে চারজন ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। নাহারলাগুন এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। নির্যাতিতাদের সকলের বয়স ছয় থেকে সাত বছরের মধ্যে।
রবিবার নাহারলাগুন থানায় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ জমা পড়ে। পরিবারের অভিযোগ, চারজন প্রথম শ্রেণির ছাত্রী টিউশনে গিয়ে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। অভিযোগ জানিয়েছেন ওই গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত গৃহশিক্ষককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এরপর ইটানগরে মহিলা থানায় অভিযুক্ত শিক্ষককে নিয়ে যাওয়া হয় পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ করার জন্য। ৩৫ বছর বয়সি অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক লোয়ার সুবানসিরি জেলার বুলা গ্রামের বাসিন্দা। ঘটনা ঘটেছিল এক ভাড়াবাড়িতে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, কয়েক মাস আগেই এমন আরেকটি ঘটনা ঘটেছিল। টিউশনে গিয়েও বিপত্তি। পড়াশোনার পরেই ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি পাঠিয়ে, শুধুমাত্র নাবালিকা ছাত্রীকে আটকে রেখেছিল গৃহশিক্ষক। ফাঁকা ফ্ল্যাটে নাবালিকাকে উপর নির্মম যৌন হেনস্থা, ধর্ষণ করে সে। ঘটনার ন'বছর পর অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক দোষী সাব্যস্ত হল। তাকে ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার রাঙ্গা রেড্ডি জেলায়। ১২ বছরের এক নাবালিকাকে যৌন হেনস্থা ও ধর্ষণের অভিযোগে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল ৬০ বছরের এক গৃহশিক্ষককে। স্পেশাল কোর্টের নির্দেশে, যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত গৃহশিক্ষককে ১০ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই নাবালিকা রাজেন্দ্রনগর মণ্ডলের বাসিন্দা ছিল। ২০১৭ সালে ডিসেম্বর মাসে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে ওই গৃহশিক্ষক। নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন, সেই সময় সে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। সেই আবাসনেই একটি ফ্ল্যাটে থাকত ওই গৃহশিক্ষক। প্রতি সন্ধ্যায় সেই গৃহশিক্ষকের কাছেই পড়তে যেত নাবালিকা।
৩ ডিসেম্বর। কাজের সূত্রে চেন্নাইয়ে গিয়েছিলেন নাবালিকার বাবা ও মা। সেই রাতেই মেয়ে ফোন করে জানায়, টিউশনের পর বাকিদের বাড়ি পাঠিয়ে গৃহশিক্ষক তাকে আটকে রেখেছিল। ফাঁকা ফ্ল্যাটে তখন তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের ঘটনাটি জানার পরদিনই থানায় গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার মা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার একাধিক ধারায় এবং পকসো ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। দীর্ঘ তদন্তের পর চার্জশিট পেশ করা হয়।
স্পেশাল কোর্টের বিচারপতি পি আঞ্জানেয়ুলু অভিযুক্ত গৃহশিক্ষককে দোষী সাব্যস্ত করেন। পাশাপাশি তাকে দশ বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন। নির্যাতিতা নাবালিকাকে তিন লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
