সমীর ধর, আগরতলা : একটানা ভারী বৃষ্টি, ভূমিধস আর বন্যার কারণে সড়কপথে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ত্রিপুরা, অসমের বরাক উপত্যকা এবং মিজোরামের। মেঘালয়ের লুমুঙসুঙ এলাকায় প্রবল হড়পা বানে ভেসে গেছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। যান চলাচল বন্ধ। রেললাইন ধুঁকপুক করে চালু থাকলেও গোটা ত্রিপুরায় দেখা দিয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সঙ্কট। অসমের করিমগঞ্জ জেলার বদরপুর সার্কেলে এলোরবাজার পঞ্চায়েতের গাইনাছড়ায় মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘরের উপর পাহাড়ের ধস নামায় দুটি শিশু সমেত একই পরিবারের ৫ জন ঘুমন্ত অবস্থায় মারা গেছেন। এছাড়া বন্যার তোড়ে ভেসে গেছেন একজন। শর্ট সার্কিটের জেরে মৃত্যু হয়েছে আরও এক জনের। শিলচর শহর বরাকের বন্যায় জলমগ্ন হয়ে রয়েছে তিনদিন। ত্রিপুরার ধর্মনগরের একাংশে মিজোরামের বন্যার জল অসমের উপর দিয়ে ঢুকে বন্যা সৃষ্টি করেছে। লংগাই ও সিংলা নদী বেয়ে প্রবল জলের তোড় কুর্তি এলাকার ৩টি নদী ও ১০টি পাহাড়ি ছড়ায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ধর্মনগরের মানিকনগরসহ বহু এলাকা প্লাবিত। এদিকে একটানা বর্ষণে কাঞ্চনপুর থেকে ত্রিপুরার পর্যটন স্বর্গ জম্পুই পাহাড়ে যাওয়ার রাস্তায় ধস নেমেছে। ফলে বিচ্ছিন্ন জম্পুইয়ের লুসাই ও রিয়াং অধ্যুষিত ১৮টি ভিলেজ। আগরতলা সমেত নিত্যপণ্যের বাজার চড়চড়িয়ে বাড়ছে গোটা ত্রিপুরায়। আগরতলা মহারাজগঞ্জ বাজারে আলু বিকোচ্ছে ৩৭ থেকে ৫০টাকা কিলোতে। পেঁয়াজের দাম টানা এক সপ্তাহ ধরে ৪০ টাকা রয়েছে। পটল, কাকরোল বিকোচ্ছে ১০০ টাকায়। সবচেয়ে খারাপ মাছ বাজারের হাল। জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকায় দক্ষিণ ভারতের রুই, কাতলা আসা বন্ধ। বাজারে কাটাপোনা পেলেও ৫০০টাকা কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সব জিনিসের দাম। মুরগির মাংস ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা কিলো।
