আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাধিকা যাদব। প্রতিভাময়ী টেনিস খেলোয়াড়। কাঁধে চোট পেয়ে, অ্যাকাডেমি খুলেছিলেন। পরিচিত মুখ সেই রাধিকাই খুন হয়েছেন তাঁর বাবার হাতে। রান্না করছিলেন যুবতী। বৃহস্পতিবার ছিল তাঁর মায়ের জন্মদিন। সেদিনই তাঁকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় বাবা। নেপথ্যে কী? তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক তথ্য।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জেরায় দীপক স্বীকার করেছেন মেয়েকে খুন করেছেন তিনি। একই সঙ্গে জানিয়েছেন, মেয়ে রাধিকার টেনিস অ্যাকাডেমি খুব ভাল চলছিল। তাতেই নানা কটাক্ষ করতে থাকেন পড়শিরা। অনেকেই বলেন, মেয়ের টাকা ভোগ করছেন বাবা। জিজ্ঞাসাবাদের সময় দীপক জানান, কাঁধে আঘাত পাওয়ার পর তার মেয়ে একটি অ্যাকাডেমি খোলেন। কিন্তু দীপক গ্রামের অর্থাৎ ওয়াজিরাবাদের লোকজন তাঁকে নানাভাবে উপহাস করতেন বলে জানিয়েছেন। তিনি মেয়েকে অ্যাকাডেমি বন্ধ করে দিতেও বলেছিলেন। কিন্তু মেয়ে তাতে রাজি হননি কোনওভাবেই। তাঁর দাবি, উপহাস, কটাক্ষে জেরবার হয়েই বেছে নিয়েছেন চরম পদক্ষেপ।
যদিও, রাধিকার মৃত্যুর পর প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল টেনিস খেলার পাশাপাশি ইনস্টাগ্রামে রিল বানানোর প্রতি আসক্তি ছিল তাঁর। এদিনও সেই কারণেই রাধিকার সঙ্গে বচসা হয় তাঁর বাবার।এই বিষয়ে আগেও বাবা-মেয়ের বাদানুবাদ হয়েছে। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে তেমনটাই। কী বলা হয়েছে তাতে? বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া রাধিকার একটি বিশেষ রিল নিয়ে আপত্তি ছিল তাঁর বাবার।
জানা যাচ্ছে যে সম্প্রতি রাধিকা যাদবের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে তাকে ইনামুল হক নামে এক যুবকের সঙ্গে বাইকে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে।সূত্রের খবর, ওই ভিডিও ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ে। দীপক যাদব তা মোটেই পছন্দ করেননি। পুলিশের সন্দেহ, বাবা তার মেয়ের সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় থাকা, রিল তৈরি করা এবং বন্ধুদের সঙ্গে জনসমক্ষে ভিডিও বানিয়ে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করায় অসন্তুষ্ট ছিলেন।

গুরগাঁওয়ের সুশান্ত লোক ফেজ-২। বৃস্পতিবারে সেখানে যা ঘটে গিয়েছে, তা নিয়েই উত্তাল গোটা রাজ্য। রেশ ছড়িয়েছে দেশেও। সেখানেই, নিজের মেয়ে, রাধিকা, যে একজন প্রতিভাবান টেনিস খেলোয়াড়, তাঁকে খুন করেছেন বাবা। গুলি করে, খুন, নিজের মেয়েকেই। স্বাভাবিকভাবেই কোন পরিস্থিতিতে একজন বাবা তাঁর মেয়েকে খুন করেছেন? তা নিয়ে জল্পনা। গত কয়েকঘণ্টায় উঠে এসেছে একাধিক তথ্যও।
একাধিক সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে প্রতিবেশীদের নানা কটাক্ষ শুনে এই চরম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন রাধিকার বাবা। কোথাও উল্লিখিত, রাধিকার আচরণে ক্ষুব্ধ হয়েই বেছে নিয়েছেন এই সিদ্ধান্ত। এসবের মাঝেই সামনে এসেছে রাধিকার কাকার মন্তব্য। তিনি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার আচমকা তিনি ঘরের উপরের তলা থেকে গুলির শব্দ পেয়ে ছুটে যান। সেখানে গিয়েই দেখেন, রান্নাঘরের সামনে, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ভাইঝি। তিনি এবং তাঁর ছেলে রাধিকাকে তৎক্ষণাৎ হাসপাতালে নিয়ে গেলেও, শেষ রক্ষা হয়নি, চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন রাধিকাকে।
ঘটনার পরপরই পুলিশ অভিযুক্ত বাবাকে গ্রেপ্তার করে। এমনকি, খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্রটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়। ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে।
