আজকাল ওয়েবডেস্ক: ক্লাস এইট। অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া অন্যান্য দিনের মতোই গিয়েছিল টিউশন পড়তে। বুধবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোয় সে। সেই যে বেরিয়েছিল, আর ঘরে ফেরেনি। মাঝে আসে মুক্তিপণ ফোন। সেই ফোনের সূত্র ধরেই পুলিশ তদন্ত শুরু করেছিল। তদন্তে নেমে আর পড়ুয়া নয়, উদ্ধার হয়েছে আর ঝলসে যাওয়া নিথর দেহ।
বেঙ্গালুরুর কাগগালিপুরা রোডের পাশে একটি নির্জন জায়গায় ১৩ বছরের ওই নাবালক পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, মৃত পড়ুয়ার নাম, নিশ্চিথ এ। সে ক্রাইস্ট স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল। বাড়ি আরেকেরে ৮০ ফুট রোড।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার বিকেল ৫টায় টিউশন ক্লাসে যোগদানের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সে। তারপর আর ঘরে ফেরেনি। সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর খোঁজ শুরু করে পরিবার। তার বাবা, জেসি অচিত, একটি বেসরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক। ছেলে বাড়িতে না ফেরায় খোঁজ নেওয়া হয় টিউশন শিক্ষকের কাছে। তিনি জানান, নির্দিষ্ট সময়েই সে পড়া শেষ করে ফিরে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: আর্থিক তছরুপ, হাজার হাজার কোটির ঋণ জালিয়াতি মামলায় অনিল আম্বানিকে তলব ইডির
জেসি অচিতের দায়ের করা পুলিশ অভিযোগ অনুসারে, তার ছেলে সন্ধ্যা ৭.৩০ টা পর্যন্ত বাড়ি ফিরে আসেনি, এরপর তিনি এবং তার স্ত্রী টিউশন শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করেন। শিক্ষক অভিভাবকদের জানান যে তাদের ছেলে নির্ধারিত সময়ে চলে গেছে। তাকে খুঁজতে খুঁজতে, অভিভাবকরা আরেকেরে ফ্যামিলি পার্কের কাছে তাদের ছেলের সাইকেলটি খুঁজে পান।
সূত্রের খবর, ওই পরিবারের কাছে একটি ফোন আসে। মুক্তিপণের জন্য। নাবালকের বাবা জানিয়েছে, ওই ফোনে বলা হয়, ছেলেকে বাঁচিয়ে নিতে চাইলে, পাঁচ লক্ষ টাকা দিতে হবে। অজানা নম্বর থেকে ওই ফোন কল আসার পরেই হুলিমাভু থানায় একটি নিখোঁজ এবং অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
কে ফোন করেছিল? কোথা থেকে? পুলিশ তদন্ত শুরু করেছিল। কিন্তু তদন্তের অগ্রগতির মাঝেই ধাক্কা। বৃহস্পতিবার ওই নাবালকের দেহ উদ্ধার হয়।
এর আগে, উচ্চশিক্ষার জন্য দিল্লিতে পড়তে গিয়ে দেহ উদ্ধার হয়েছিল নিখোঁজ ত্রিপুরার ছাত্রীর। উচ্চশিক্ষার জন্য দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় আত্মারাম সনাতন ধর্ম কলেজে পড়তে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন ত্রিপুরার তরুণী ১৯বছর বয়সের স্নেহা দেবনাথ। এই খবর জানা জানি হতেই ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। দিল্লিতে পড়তে যাওয়া নিখোঁজ তরুণীর বাড়ি দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলার সাবরুমে।

গত সাত জুলাই স্নেহার সঙ্গে ভোর পাঁচটা ৫৬ মিনিটে শেষবারের মতো মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল বলে পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন। স্নেহা তখন পিটুনিয়া নামে এক বন্ধুর সঙ্গে সরাই রহিলা স্টেশনে যাচ্ছিলেন। কিন্তু এদিনই স্নেহের পরিবারের পক্ষ থেকে আবার স্নেহার সঙ্গে সকাল ৯ টা নাগাদ ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে স্নেহার ফোন সুইচ অফ আসে। ফোন বন্ধ থাকায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন তার পরিবার। স্নেহার বন্ধু পিটুনিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন স্নেহার সঙ্গে তার দেখা হয়নি। এই কথা শুনে আরও সন্দেহ বেড়ে যায় স্নেহার পরিবারের। স্নেহার পরিবার দিল্লিতে ছুটে যায়। এবং দিল্লি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন।
পুলিশ তদন্ত করতে নেমে স্নেহার মোবাইল লোকেশন সর্বশেষ সিগনেচার ব্রিজের কাছে ছিল বলে জানা যায়। পরবর্তী সময়ে ত্রিপুরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সক্রিয় হস্তক্ষেপ ও দিল্লী পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় সাত দিনের মাথায় নিখোঁজ ছাত্রী স্নেহা দেবনাথের মৃতদেহ যমুনা নদী থেকে উদ্ধার হয়।
