আজকাল ওয়েবডেস্ক: টাকার এত লোভ! বিমার কোটি কোটি টাকার জন্য বাবাকে পরিকল্পনামাফিক খুন করার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। প্রৌঢ়ের মৃত্যুর কয়েক মাস পর ফাঁস হল ছেলের কীর্তি।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে তামিলনাড়ুতে। পুলিশ জানিয়েছে, বিমার টাকার জন্য বাবাকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। বিমার তিন কোটি টাকার জন্যেই খুনের ঘটনাটি ঘটিয়েছেন তিনি। সাপের কামড় দিয়ে বাবাকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে তিরুভাল্লুর জেলায়। সাপের কামড়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলেই ধারণা ছিল পুলিশের। তদন্তের পর জানা যায়, তাঁকে খুন করা হয়েছে। ৫৬ বছরের মৃত ব্যক্তির নাম, ইপি গণেশান। সরকারি স্কুলের কর্মী ছিলেন তিনি। গত ২২ অক্টোবর বাড়ি থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সাপের কামড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তাঁর ছেলে মোহনরাজ (২৬)।
দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। কয়েক মাস পরেই বিমা কোম্পানির তরফে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়। তখনই মোহনরাজ ও পরিবারের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। দীর্ঘ জেরায় জানা যায়, বাড়িতে কোবরা ঢুকিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। গণেশানের ঘাড়ে কোবরা ছোবল মারে। বিষয়টি জানার পরেও তড়িঘড়ি করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়নি তাঁকে। গণেশানের মৃত্যু নিশ্চিত হতেই হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা।
বিমার তিন কোটি টাকা পাওয়ার জন্যেই বাবাকে খুন করেন ছেলে। এই ঘটনায় মোট ছ'জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এমনকী যাঁরা কোবরা জোগাড় করে সাহায্য করেছিলেন, তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, অক্টোবরে ঝাড়খণ্ডে আরও এক নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। চার মাস আগে বিয়ে। সুখের সংসারে আচমকা ঝড়। বিমার টাকার লোভে স্ত্রীকে নৃশংসভাবে খুন যুবকের। তবে বিষয়টি এমনভাবে সাজিয়েছিলেন, যা দেখে মনে হয়েছিল দুর্ঘটনায় স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পরেই যুবকের কুকীর্তি ফাঁস হয়েছে পুলিশের কাছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডে। মঙ্গলবার পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে হাজারিবাগ জেলায়। সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে ৩০ বছর বয়সি এক যুবকের বিরুদ্ধে। বিমার টাকা পাওয়ার জন্য স্ত্রীকে খুন করেন যুবক। কিন্তু ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশকে জানায়, দুর্ঘটনার জেরেই সদ্য বিবাহিতা স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনার পরেই অভিযুক্ত মুকেশ কুমার মেহতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ২৩ বছরের তরুণীর নাম, সেবন্তী কুমারী। চার মাস আগেই তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মুকেশের। ৯ অক্টোবর সেবন্তীকে খুন করেন মুকেশ। হত্যাকাণ্ডের পর সকলে জানান, দুর্ঘটনায় স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে। বিমার ৩০ লক্ষ টাকা পাওয়ার জন্যেই স্ত্রীকে খুন করেন মুকেশ।
এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ৯ অক্টোবর রাতে পথচলতি কয়েকজন মানুষ পুলিশে খবর দেন, ৩৩ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে পদ্ম - ইটখোরি সড়কে এক দম্পতি রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে আছেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দম্পতিকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। ততক্ষণে অচৈতন্য থাকার নাটক করেছিল মুকেশ।
হাসপাতালে পৌঁছনোর পরে তরুণীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। অন্যদিকে আহত অবস্থায় মুকেশ হাসপাতালে ভর্তি হন। যে আঘাতগুলি নিজেকেই করেছিলেন তিনি। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর জানা যায়, দুর্ঘটনা নয়, তরুণীকে খুন করা হয়েছিল। মুকেশকে দীর্ঘ জেরার পর আসল ঘটনা ফাঁস হয়। বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন অভিযুক্ত যুবক।
