আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতের উন্নতি একেবারেই পছন্দ হচ্ছে না কারও কারও। ভাবছেন, 'সবার বস তো আমরা', কী করে এত দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে ভারত? ট্রাম্প ২৫-২৫, ৫০ শতাংশ শুল্ক লাগু করার পর, এবার কেন্দ্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর নিশানায় তিনি। রবিবার মধ্যপ্রদেশের রাইসেনেয় এক সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময়, নাম না করেই মার্কিন প্রেসিডেন্টকে চরম কটাক্ষ করেছেন রাজনাথ।
রাজনাথ এদিন বলেন, ভারতের উন্নতি পছন্দ হচ্ছে না অনেকের। ঠিক সেই কারণে চেষ্টা করছেন নানাভাবে। কেউ কেউ চেষ্টা করছেন, যাতে ভারতে, ভারতবাসীদের তৈরি দ্রব্যাদি অন্য দেশে, সেই দেশের দ্রব্যের তুলনায় দামী হয়ে যায়, যাতে ভারতবাসীদের হাতে তৈরি দ্রব্যাদি দামী হয়ে গেলে, মানুষ তা কেনা কমিয়ে দেয়। রাজনাথ বলেন, ভারত এত দ্রুততার সঙ্গে এগিয়ে চলেছে। ভারতকে আর বিশ্বের এক বড় শক্তি হওয়ার ক্ষেত্রে কেউ আটক করতে পারবে না।
আরও পড়ুন: লক্ষ লক্ষ নাম বাদ, খসড়া ভোটার তালিকা নিয়ে কী ভাবনা, শীর্ষ আদালতে 'আইন' আলোচনা কমিশনের
৬ আগস্ট, মার্কিন মুলুক ভারতীয় পণ্যের উপর ২৫ থেকে বাড়িয়ে পঞ্চাশ শতাংশ শুল্ক আরোপ করার কিছুক্ষণেই জবাব দিয়ে দেয় ভারত। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে কড়া জবাব দেওয়া হয়। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রনধীর জয়সওয়াল ইতিমধ্যেই সমজমাধ্যমে বিদেশ মন্ত্রকের জারি করা বিবৃতি শেয়ার করেন সেদিন। তাতে দেখা যায় ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে অন্যায্য, অযৌক্তিক এবং অনর্থক বলে দাবি করা হয়েছে। একই সঙ্গে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, এই পরিস্থিতিতে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে দেশ।
এমইএ-র বিবৃতিতে লেখা হয়-‘সাম্প্রতিক দিনগুলিতে রাশিয়া থেকে ভারতের তেল আমদানিকে নিশানা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমরা ইতিমধ্যেই এই বিষয়গুলিতে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছি, যার মধ্যে রয়েছে, আমাদের আমদানি বাজারের চাহিদার উপরে নির্ভর করে এবং ভারতের ১.৪ বিলিয়ন মানুষের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার সামগ্রিক লক্ষ্য নিয়ে করা হয়। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে অন্যান্য বেশ কয়েকটি দেশ তাদের নিজস্ব জাতীয় স্বার্থে পদক্ষেপ নিচ্ছে, কিন্তু অতিরিক্ত শুল চাপানোর জন্য আমেরিকা বেছে নিচ্ছে ভারতকেই।
আমরা পুনর্ব্যক্ত করছি যে এই পদক্ষেপগুলি অন্যায্য, অযৌক্তিক এবং অনর্থক। ভারত তার জাতীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।‘
৭ আগস্ট, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সাফ জানিয়ে দেন, ‘আমাদের কাছে দেশের কৃষকদের স্বার্থই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায়। ভারত কখনও কৃষক, জেলে এবং দুগ্ধ চাষীদের স্বার্থের সঙ্গে আপোস করবে না। আমি জানি এর জন্য আমাদের অনেক মূল্য দিতে হবে এবং আমি এর জন্য প্রস্তুত। ভারত এর জন্য প্রস্তুত।’
এর ঠিক পরের দিন, অর্থাৎ আট আগস্ট ট্রাম্প জানিয়ে দেন, ভারত-মার্কিন শুল্ক সমস্যা মেটার আগে পর্যন্ত ভারতের সঙ্গে কোনও বাণিজ্য আলোচনা নয়। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, মার্কিন আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, প্রাথমিকভাবে ২৫ শতাংশ শুল্ক ৭ অগাস্ট থেকে কার্যকর হয়েছিল। অতিরিক্ত শুল্ক ২১ দিনের মধ্যে কার্যকর হবে এবং মার্কিন বন্দরে প্রবেশকারী সমস্ত ভারতীয় পণ্যের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। তবে ইতিমধ্যেই ট্রানজিট পণ্য এবং কিছু অব্যাহতিপ্রাপ্ত বিভাগ এতে ছাড় পাবে।
